আপনজন ডেস্ক: লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে হামলা পালটা হামলা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে বেশ কয়েক দফায় বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এখন হিজবুল্লাহর পাল্টা হামলার আশঙ্কায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় ইসরায়েল সরকার এ ঘোষণা দেয়।
জানা গেছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় লেবাননে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯২ জনে। এর মধ্যে ২৪ জন শিশু, ৩৯ জন নারী এবং দুইজন প্যারামেডিক সদস্য রয়েছেন। আহতের সংখ্যা ১৬৪৫ ছাড়িয়েছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনোথের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার সদস্যরা ইসরায়েল জুড়ে একটি ‘বিশেষ হোম ফ্রন্ট পরিস্থিতি’ ঘোষণা করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের প্রস্তাব অনুসারে এই ভোট টেলিফোনে নেয়া হয়েছিল।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ডেইলি হারেটজ জানিয়েছে, জরুরি অবস্থা ঘোষণার অধীনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে জনসাধারণের জন্য নির্দেশনা জারি করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী এখন যে কোনো ধরনের সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং জীবন রক্ষাকারী অন্য যে কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে।
হিজবুল্লাহর শীর্ষ সামরিক কমান্ডার আলী কারাকিকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানের পর দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হলো। এর আগে ইসরায়েলি আর্মি রেডিও সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে অবস্থানরত কারাকিকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। তবে কারাকি নিহত হয়েছেন কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সশস্ত্র ইসলামি রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লার প্রধান ঘাঁটি লেবানন। দেশটির সরকারে এই গোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি নেই, তবে ক্ষমতার প্রকৃত নিয়ন্ত্রক তারাই। এই গোষ্ঠীটি ইরানের মদদপুষ্ট।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct