আমীরুল ইসলাম, বোলপুর, আপনজন: মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুর থেকে সোজা সড়কপথে বোলপুর উদ্দেশ্যে রওনা হন। সড়ক পথে আসার কথা শুনে বহু মানুষ রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকেন তাকে দেখার জন্য। অবশেষে বোলপুর এসে পৌঁছন এবং বেলা একটা নাগাদ বোলপুর গীতাঞ্জলি অডিটরিয়ামে প্রবেশ করেন প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য। এই প্রশাসনিক বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য বীরভূমে বিভিন্ন জায়গায় অকাল বর্ষণে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু গ্রাম। অকাল বৃষ্টিপাত ও তার সঙ্গে ডি ভি সি জল ছেড়ে বন্যা পরিস্থিতি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যকে না জানিয়ে একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণ জল ছেড়ে দেয় তার ফলে বর্ধমান সহ বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা প্লাবিত হয়। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিসির জল ছাড়া জন্য একরাস ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, মানুষ আগে না জল ছাড়া আগে। জল ছেড়ে মানুষ মেরে দিচ্ছে। ডি ভি সি তৈরি হয়েছিল বন্যা হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কিন্তু এখন উল্টো। ডিভিসি এত পরিমানে জল ছাড়ছে যে বন্যা পরিস্থিতি । তিনি আরো জানান জল আস্তে আস্তে ছাড়ো যাতে মাটি সহ্য করতে পারে। একসাথে বেশি জল ছাড়লে কি করে সহ্য পারবে মাটি। তাও তো অনেক অঞ্চল বেঁচে আছে তার কারণ আমরা তো অনেক কাজ করেছি যার জন্য বন্যা হয়নি। বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বলেন শুধু ভোট চাইলে হবে বিপদের সময় মানুষের পাশে থাকতে হবে। আজকে প্রশাসনিক বৈঠকে ছিলেন। চিপ সেক্রেটারি, মন্ত্রী,এম এল এ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সমস্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি সকলেই ছিলেন। বীরভূমে বিভিন্ন জায়গায় বন্যা হয়েছে। এখনো কাদা হয় তো শুকায়নি। জল নেমেছে। যেহেতু বীরভূমে বিভিন্ন জায়গায় বন্যা হয়েছিল। মোটামুটি দুবরাজপুর, রামপুরহাট, বোলপুর লাভপুর, সাঁইথিয়া , সিউড়ি এই জায়গা গুলিতে বন্যা হয়েছিল। বন্যায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকে দেখতে হবে যতক্ষণ না অবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আগামী দুই তিন দিন ভারি বর্ষার সম্ভাবনা আছে যেহেতু ঘূর্ণবার্তাতৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। সেদিকে নজর রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন গ্রাম অঞ্চলে যেসব রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলিকে সংস্কারের জন্য সমস্ত টাকা খরচা করতে হবে বিধায়কদের। আর এমপিদের বলা হয়েছে এক কোটি টাকা খরচ করবে স্কুলের জন্য। যেখানে স্কুল গুলি খারাপ হয়ে গেছে। তিন হচ্ছে ১১ লক্ষ বাড়ি ডিসেম্বরে দেওয়া হবে। তিন বছর ধরে কেন্দ্র সরকার বাড়ির টাকা দেয়নি। তাছাড়া কেন্দ্রের কাছে এক লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে পাওনা। বন্যা প্রসঙ্গে জানান বাংলার বর্ষায় বন্যা হয় না। ঝাড়খন্ডে জল ছাড়লে তখনই বাংলায় বন্যা হয়। এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মাননীয় চন্দ্রনাথ সিনহা, ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, বীরভূম লোকসভার সাংসদ শতাব্দী রায়, বোলপুর লোকসভা সংসদ অসিত মাল, নানুরের বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি, সিউড়ি বিধায়ক বিকাশ রায়, লাভপুরে বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা, বীরভূম জেলা সভাধিপতী কাজল শেখ সহ অন্যান্য তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ। তবে, অনুব্রত ফিরলেও তাকে কোনও কথা শোনা যায়নি মমতার মুখে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct