সেখ আবদুল আজিম, হুগলি, আপনজন: রবিবার ভাবাদিঘি বাঁচাও সহযোগী মঞ্চের পক্ষ থেকে ৬ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল ভাবাদিঘি পরিদর্শনে যায় । দলে ছিলেন কমল দত্ত, অরিজিৎ গাঙ্গুলি, সুরজিৎ সেন, গৌতম সরকার, শেখ মাবুদ আলি, শৌভিক চক্রবর্তী ।
প্রতিনিধিদল ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটির সুকুমার রায়, দিলীপ পন্ডিত ও পঞ্চায়েত প্রতিনিধি কৃষ্ণা রায়ের সঙ্গে কথা বলে। ভাবা দিঘি বাঁচাও কমিটির আরও ৭ / ৮ জন উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধি দলকে গ্রামবাসীরা জানান, ৫২ বিঘার জলাশয় ভাবাদিঘি, যাকে ঘিরে ভাবাদিঘি গ্রাম, সেই পুরো গ্রামটিই (২৬৮টি পরিবারের সবাই তফশিলি সম্প্রদায়ের, যাঁরা ওই দিঘির মালিক) তফশিলি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের গ্রাম। তারা জানান, ওই ৫২ বিঘার জলাশয় ভাবাদিঘিকে কেন্দ্র করেই তাঁদের গ্রামের জীবিকা অর্থাৎ মাছের চাষ, কিন্তু আদালতে দিঘি নিয়ে মামলা চলার কারণে ২০১৭ থেকে তা বন্ধ। ফলে গ্রামীণ মানুষের জীবিকাও সংকটে। পাশাপাশি দিঘিকে ঘিরে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় যাপনও চলে। ভাবাদিঘিকে কেন্দ্র করে জলজ উদ্ভিদ, জলচর প্রাণী, পাখি, স্থলচর প্রাণী ও দিঘির চারপাশে প্রচুর গাছ নিয়ে একটি ইকোসিস্টেম বা জীববৈচিত্রের বাস্তুতন্ত্র বিদ্যমান। ভারতীয় রেল কর্তৃক প্রস্তাবিত ভাবাদিঘির উপর দিয়ে রেলপথ এই সব ধ্বংস করে দেবে। এককথায় পুরো জনপদটিই বিলুপ্ত হবে, সচেতন মানুষ হিসেবে আমরা তা হতে দিতে পারি না। আইন ও আদালত ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটির আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা লড়ছেন। গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে ওই একই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে অতিরিক্ত একটি মামলা লড়ছেন আইনজীবী রঘুনাথ চক্রবর্তী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct