চন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর, আপনজন: সুন্দরবন সহ তৎসংলগ্ন এলাকায় জলে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার তুলনামূলক ভাবে বেড়ে চলেছে।তাই শিশু বয়স থেকেই শিশুদের সাঁতার শেখানোর দরকার আছে। কিন্তু বর্তমানে পুকুর কমে যাচ্ছে ফলে শিশুদের সাঁতার শেখানোর জায়গার দরকার হয়ে পড়েছে। আর সেই তাগিদে জয়নগর মজিলপুরে এই প্রথম নীল জলে মাটির পি এইচ মাত্রা ঠিক রেখে তিন থেকে কুড়ি বছরের শিশু ও কিশোর কিশোরীদের সাঁতার শেখানোর কাজ শুরু করেছে রামকৃষ্ণ সুইমিং পুল। দুই প্রশিক্ষিত সাঁতার প্রশিক্ষক শুভজিৎ চক্রবর্তী ও অভীক চক্রবর্তীর পরিচালনায় গত এক বছর ধরে জয়নগর মজিলপুর টাউন হলের পাশে জয়নগরের একমাত্র নীল জলে সাঁতার প্রশিক্ষন নেওয়া হচ্ছে। আর সোমবার এই সংস্থার উদ্যোগে আন্ত: জেলা ক্লাব সাঁতার প্রতিযোগিতা হয়ে গেল। এই প্রতিযোগিতায় তিন থেকে কুড়ি বছরের শিশু ও কিশোর কিশোরীরা অংশ নেন। মোট ৬৫০ জন প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। সাঁতারের বিভিন্ন ধরনের ক্যাটাগরি স্থান পায় এই প্রতিযোগিতায়। জয়নগর, ফুটিগোদা,সাহাজাদাপুর, কুলতলি, নিমপীঠ, বহড়ু, উওর দূর্গাপুর, শ্রীপুর, দক্ষিন বারাশত, সাউথ বিষ্ণুপুর,খটির বাজার, মুলদিয়া এলাকা থেকে বহু প্রতিযোগিরা এই সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এব্যাপারে এদিন সাঁতার প্রশিক্ষক শুভজিৎ চক্রবর্তী ও অভীক চক্রবর্তী বলেন, মূলত প্রতিটা শিশুর সাঁতার শেখার খুব দরকার। কারণ সব শিশু সাঁতার শিখে রাখলে জলে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার কমে যাবে। তাই আমরা প্রত্যেক অভিভাবকদের বলবো আপনার শিশুর শরীর ও স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ও জলে ডুবে মৃত্যুর হার থেকে শিশুকে বাঁচাতে অতি অবশ্যই সাঁতার শেখান আমাদের তরফে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারী মাসে বিনামূল্যে সাঁতার প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। আর এদিনের এই প্রতিযেগিতা থেকে চ্যাম্পিয়ানরা রাজ্য স্তরে খেলার সুযোগ পাবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct