নিজস্ব প্রতিবেদক , কলকাতা আপনজন: কলকাতা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হলে কনভেনশন শুরু হয় পবিত্র কুরআনের আলোচনার মাধ্যমে। কুরআনের সূরা আল আহযাব এর ৩৫ নং আয়াতকে সামনে রেখে আলোচনা পেশ করেন জামাআতে ইসলামী হিন্দের বিভাগীয় রাজ্য সম্পাদক মাওলানা এএফএম খালিদ।
প্রারম্ভিক ভাষণে জামাআতে ইসলামী হিন্দের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মো: মশিউর রহমান বলেন, নৈতিক মূল্যবোধ প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জনের সুপ্রশস্ত পথ।
জামাআতের প্রাক্তন আমীরে হালকা মুহা. নূরুদ্দিন শাহ বলেন, মানুষকে মানুষের যথাযথ স্থানে পৌঁছে দেয় নৈতিকতা ও মূল্যবোধ। এটাই প্রকৃত মানবীয় গুণাবলী হওয়া উচিত। রামকৃষ্ণ মিশন ও অ্যানসেস্ট্রাল হাউস অফ স্বামী বিবেকানন্দ অ্যান্ড কালচারাল সেন্টার এর সেক্রেটারি স্বামী জ্ঞানলোকানন্দজী মহারাজ বলেন, ঈর্ষা, ঘৃণা, ক্রোধের কাছে আমরা পরাজিত হচ্ছি এবং এসবের কাছে পরাধীন হয়েছি। এ থেকে মুক্তির চিন্তা করতে হবে। স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায়? জামাআতের রাজ্য সম্পাদিকা মঞ্জুরা খাতুন বলেন, আজ ডিজিটাল যুগে নৈতিকতার বড়ই অভাব। মূল্যবোধ ও নৈতিকতার সংকট প্রকট। অধিকার নিয়ে আমরা চিন্তা করি, কিন্তু দায়িত্ব-কর্তব্যের কথা ভুলে যাই। নৈতিকতা হল মূল্য এবং বোধের সমষ্টি। পুবের কলম পত্রিকার সম্পাদক তথা রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান আহমেদ হাসান ইমরান বলেন, সমাজে প্রচলিত সবরকম খারাবী দূর করতে হবে। কিন্তু কে করবে? আইন তৈরি করে তো সবকিছু করা সম্ভবপর নয়। সমাজ সংস্কারের দায়িত্ব নিতে হবে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষজনকে। সমাপ্তি ভাষণে আমীরে হালকা ডা. মসিহুর রহমান বলেন, নৈতিকতা এবং স্বাধীনতা দুটো বিষয়কে আলাদা করে দেখলে হবে না। সব দেশেই সভ্য সমাজে স্বাধীনতার অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশের সংবিধানেও স্বাধীনতা, সাম্য, মৈত্রীর কথা আছে।
এদিনের কনফেনশনে উপস্থিত ছিলেন জামাআতে ইসলামীর রাজ্য সেক্রেটারি মাওলানা তাহেরুল হক, শুরা সদস্য আব্দুল আজিজ , মুস্তাফিজুর রহমান , এসআইও-র রাজ্য সভাপতি সাঈদ আল মামুন, সলিডারিটি ইয়ুথ মুভমেন্ট এর রাজ্য সভাপতি ওসমান গনি সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার নাযিম ও নাযিমাগণ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct