নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর আপনজন: শিক্ষকদের স্কুলঘরে তালা বন্দি করে রাখলেন গ্রামবাসীরা। দুই ঘণ্টা পর পুলিস ও এস আই এর উপস্থিতিতে শিক্ষকদের মুক্ত করা হল। শিক্ষকরা সকলের সামনে ভুল স্বীকার করে নিয়মিত স্কুল আসবেন এবং শিশুদের পড়াশোনায় গুরুত্ব দেবেন বলে মুচলেকা দেয় স্কুল পরিদর্শক কে। শুক্রবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা সার্কেলের বারঘরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্কুলে সঠিক সময়ে কোন শিক্ষক না আসায় স্কুল গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন অভিভাবকরা। খবর পেয়ে দুপুরে দুই শিক্ষক আসলে তাদেরকেও ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। স্কুলের চাবি ছিল গ্রামের এক অভিভাবকের কাছে। শুক্রবার সঠিক সময়ে চার শিক্ষক স্কুল আসেন। স্কুল খুলে দেওয়া হয়। অভিযোগ,পার্শ্ব শিক্ষক তারা বেগমের দুই ভাই এদিন স্কুলে এসে বিক্ষোভকারী অভিভাবকদের গালিগালাজ করেন। এতে অভিভাবকরা উত্তেজিত হয়ে শিক্ষকদের স্কুলঘরে আটকে রেখে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে দুই ঘণ্টা পর স্কুলে ছুটে আসে স্কুল পরিদর্শক শর্মিলা ঘোষ ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস। তাদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এবং শিক্ষকদের মুক্ত করা হয়। এরপর গ্রামবাসীদের সঙ্গে বসে সমস্যা সমাধান মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। শিক্ষকদের কাছ থেকে মুচলেকা নেন। শিঘ্রই অভিভাবকদের নিয়ে মিটিং করার পরামর্শ দেন স্কুল পরিদর্শক শর্মিলা ঘোষ। অভিভাবক মাজেদুল রহমান বলেন, পার্শ্ব শিক্ষক তারা বেগমের বাবার বাড়ি বারঘরিয়াতে। সেই কারণে তার মেজাজ সবসময় চরম থাকে। বৃহস্পতিবার তিনি দুপুর বারোটা নাগাদ স্কুল আসলে আমরা তাকে বাড়ি ফিরে যেতে বলি। তার সঙ্গে আমাদের কোনো তর্ক হয়নি। শুক্রবার তার দুই ভাই স্কুলে এসে আমাদেরকে গালিগালাজ দিতে শুরু করে। তাই আমরা প্রধান শিক্ষক ও প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়ে শিক্ষকদের ঘরে ঢুকিয়ে তালা মেরে দি। পার্শ্ব শিক্ষক তারা বেগম বলেন, বৃহস্পতিবার আমাকে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অভিভাবকরা আমাকে গালিগালাজ দিয়ে স্কুল থেকে বার করে দেয়। শুক্রবার আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় কয়েকজন অভিভাবক। তাই আমার দুই ভাই পরিবাদ করতে এসেছিল। কোন গালিগালাজ করেনি। তারা মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। স্কুল পরিদর্শক শর্মিলা ঘোষ বলেন, অভিভাবক ও শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং করে সমস্যা সমাধান করে দেওয়া হল। শিক্ষকদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হল। পূর্ববতীতে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধান শিক্ষক ভজন হালদার বলেন,বৃহস্পতিবার আমি ব্লকে মিটিং এ ছিলাম। অন্যান্য শিক্ষকরা যে স্কুলে আসেনি আমাকে তা আমি জানতাম না।
তবে স্কুল পরিদর্শককে মুচলেকা দিয়ে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct