সারিউল ইসলাম , মুর্শিদাবাদ আপনজন: সপ্তাহ কয়েক ধরে লালগোলা ব্লকের তারানগর এলাকায় পদ্মা ভাঙন আতঙ্কে রীতিমত ঘুম উড়েছে বাসিন্দাদের। প্রতিদিন একটু একটু করে বিঘের পর বিঘে জমি ভেঙে চলে যাচ্ছে পদ্মার গর্ভে। স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন অন্য স্থানে। শুক্রবার বিকেলে লালগোলার তারানগরে সেই পদ্মা ভাঙন পরিদর্শন করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এদিন তিনি পদ্মা ভাঙন পরিদর্শনের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের সামনে কেন্দ্রীয় সেচ দপ্তরের মন্ত্রী চন্দ্রকান্ত রঘুনাথ পাতিল কে ফোন করেন। তারানগরে দাঁড়িয়ে সমস্ত বিষয়টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানান অধীর চৌধুরী। পাশাপাশি বিলবোড়াকোপড়া অঞ্চল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ঘর ছাড়া মানুষদের হাতে ত্রান সামগ্রী তুলে দেন অধীর চৌধুরী।
শতাধিক ঘরছাড়া মানুষের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় বলে জানান কংগ্রেস পরিচালিত স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান তথা বিলবোড়াকোপড়া অঞ্চল কংগ্রেসের সভাপতি রফিকুল আলম। পরিদর্শন শেষে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘এর ওর ঘাড়ে দোষ না চাপিয়ে সঠিকভাবে পদ্মা ভাঙন রোধে কাজ করুন। পদ্মার ভাঙন নতুনভাবে হচ্ছে না, অনেকদিন ধরেই এটি চলছে। তবে বর্ষা আসলে ভাঙনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এখন মাটি বা বালি ফেলে নেতাদের পকেট ভরতে পারে, কিন্তু কাজের কাজ কিচ্ছু হবে না। যখন ভাঙন থাকে না বা বর্ষা থাকে না, তখন ভাঙন রোধে কাজ করতে হয়। সেচ দপ্তর তা করেনি।’ বাঁশ দিয়ে ভাঙন রোধ প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘ভাঙনে মানুষের জন্য যা বাঁশ দেওয়ার তা দেওয়া হয়ে গেছে। এই বাঁশের দৌলতে সরকারের আর সরকারের পোষ্যপুত্রের পকেট কিছু পয়সা যাবে।’
বাঁশ এবং বালি নিয়ে কিছুদিন কারবার চলবে বলেও কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরী।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct