সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, ভাঙড়, আপনজন: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামছেই না। ভাঙড়ে শাসক দল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রায়শই সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম দখল করে। বর্তমানে তুলনামূলক কম হয়েছে তৃণমূলের দলীয় ঝগড়া। তবে ভাঙড়ে ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে ফেসবুক গ্রুপের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
সাধারণ ফেসবুক গ্রুপ হিসাবে প্রথমে গড়ে ওঠে “আমার ভাঙড়।” শিক্ষা ও সামাজিক ক্ষেত্রে সেবামূলক কাজ করতে থাকে গ্রুপটি। দ্রুত ভাঙড়ের অঘোষিত মুখপত্র হয়ে ওঠে গ্রুপটি। গ্রুপটি প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালীন সরকারি কর্মী বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইয়াউর রহমান।
বছর ঘুরতেই গ্রুপের সক্রীয় সদস্য মুজাহিদ সরদার, জসিম উদ্দিন, হামি রহমানরা বেরিয়ে এসে তৈরি করেন “আমাদের ভাঙড়।” যদিও গ্রুপটি লোকপ্রিয় হয়ে উঠতে পারিনি। সামাজিক কর্মকাণ্ডে দেখতে পাওয়া যায়নি গ্রুপ সদস্যদের। ফের ভাঙন ধরে “আমার ভাঙড়” গ্রুপে। সক্রীয় সদস্য ইনতিয়াজ মোল্লা, জিয়ারুল ইসলাম, আনিসুর তরফদার, তাজমিরা পারভীনরা বেরিয়ে এসে তৈরি করেন “ভাঙড় আছে ভাঙড়েই” ফেসবুক গ্রুপ। এই গ্রুপটি সমাজসেবা মূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করতে থাকে। সেবামূলক বিভিন্ন কাজে কার্যত একে অপরকে টেক্কা দিতে শুরু করে “আমার ভাঙড়” ও “ভাঙড় আছে ভাঙড়েই” গ্রুপ দুটি।
সম্প্রতি”ভাঙড় আছে ভাঙড়েই” গ্রুপেও ভাঙন ধরেছে। গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়ে “স্বপ্নের ভাঙড়” নামে নতুন গ্রুপ তৈরি করেছেন জিয়ারুল ইসলাম, আনিসুর তরফদার, তাজমিরা পারভীনরা।
এছাড়াও “ভালোবাসার ভাঙড়, “প্রিয় ভাঙড়বাসী”, “আমার শহর ভাঙড়”, “উই লাভ ভাঙড়” প্রভৃতি গ্রুপ তৈরি হয়েছে। গ্রুপ গুলিতে একে অপরকে আক্রমণ করে পোস্ট করতে দেখা গেছে। সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে প্রভাব বিস্তার করতে গ্রুপে ভাঙন ও পাল্টা গ্রুপ তৈরির প্রবণতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন ভাঙড়বাসী। এবিষয়ে ভাঙড়ের জয়নগর গ্রামের প্রতিবাদী যুবক আরিফ মহম্মদ মালি “আপনজন” কে বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তথা ফেসবুকের মধ্য দিয়ে সকলেই জনপ্রিয়তা পেতে চায়। তাই দলবদ্ধ ভাবে কাজ করার মানসিকতা হারাচ্ছে। যা মোটেও কাম্য নয়। মাঝেরহাট গ্রামের চাকরি প্রত্যাশী মুজিবর রহমান “আপনজন” ‘কে বলেন, গ্রুপ কে সামনে রেখে সমাজ সেবার অন্তরালে রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রচার চলছে। যার ফলে এতো গ্রুপ তৈরি হচ্ছে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct