সেখ রিয়াজুদ্দিন ও আজিম সেখ, বীরভূম, আপনজন: বেশ কয়েকদিন যাবৎ অতিবৃষ্টির ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত। জলের তোড়ে ভেঙেছে নদনদী,পুকুর,খালবিল। সেইজল গ্রাম বা বসতি এলাকায় ঢুকে হয়েছে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি। বাড়িঘর সহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে চলেছে। গ্রাম থেকে গ্রাম বা অন্যত্র যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এনিয়ে প্রশাসন মহল চিন্তিত। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ বন্যা কবলিত এলাকাবাসীদের খবরাখবর নেওয়া,ত্রান সহ তাদের পাশে দাড়ানো। সামগ্রিক ভাবে বন্যা কবলিত মানুষের যেন কোনোরূপ অসুবিধা না হয় তা দেখা। সেরূপ বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে নদীতে পড়ে গেলেন বীরভূমের জেলাশাসক,জেলার দুই সাংসদ, এক বিধায়ক, সহ বেশ কয়েকজন আধিকারিক। ঘটনাটি ঘটে বুধবার বীরভূমের লাভপুর বন্যা প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে যাবার পথে। উল্লেখ্য লাভপুর ব্লক এলাকার মধ্যে ১৫টি গ্রাম জলমগ্ন, মানুষজন জলবন্দি অবস্থায় আটকে রয়েছে। সেই সমস্ত এলাকার
বন্যা পরিস্থিতি সরজমিনে দেখার জন্য স্পিডবোট করে যাবার সময় জলের মধ্যে গাছের গুড়িতে স্পিডবোট লেগে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন এবং বেশ কিছু ক্ষণের চেষ্টায় সকলকে উদ্ধার করা হলেও এক জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে খবর। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দল। স্থানীয় সূত্রে খবর, জলের তোড়ে ছয়- সাতটি গ্রামে কুয়ে নদীর জল ঢুকছে হু হু করে। যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। এই পরিস্থিতিতে স্পিডবোট সহযোগে সরজমিনে বন্যা কবলিত এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়, জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়, সাংসদ সামিরুল ইসলাম ও অসিত মাল, লাভপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ প্রমুখ। আচমকা জলের তোড়ে কুয়ে নদীতে স্পিডবোট উল্টে যায়। জলে পড়ে যান পুলিশ সুপার ছাড়া সকলেই। মুহুর্তেই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দ্রুত উদ্ধারকার্যে নেমে পড়েন স্থানীয় মানুষজন। পরবর্তীতে খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল। উল্লেখ্য স্পিডবোটে চড়ার মুহুর্তেই আরোহীদের সেফটি জ্যাকেট পরার কথা থাকলেও সেগুলো কেউ ব্যবহার করেন নি ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct