জাকির সেখ, মুর্শিদাবাদ, আপনজন: সোমবার বহরমপুরে অনুষ্ঠিত হল মুর্শিদাবাদ জেলা জমিয়তে উলামার মজলিশ মুন্তাজিমার অধিবেশন। প্রধান অতিথি ছিলেন রাজ্য জমিয়তে উলামার সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। ওয়াকফ সম্পত্তি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন ব্রিটিশরা কখনও ওয়াকফ সম্পত্তি ও মন্দিরের সম্পত্তিতে হাত দেয়নি। কিন্তু বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার এই সম্পত্তিতে হাত দিতে চাইছে। ১৯৫৪ সালে পার্লামেন্টের একজন সদস্যা মোহাম্মদ কাজিম তদানীন্তন জমিয়ত নেতৃত্বের পরামর্শে ওয়াকফ আইনটি পার্লামেন্টে অনুমোদন করেন। ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ অ্যাক্ট তৈরি হয়। ১৯৯৬ সালের জানুয়ারি থেকে সেই ওয়াকফ আইন চলছে। ওয়াকফ সম্পত্তি মুসলমানদের পৈতৃক সম্পত্তি। কেউ এই সম্পত্তি ছিনিয়ে নিতে চাইলে মুসলমানরা জান দিয়ে লড়াই করবে এবং গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশজুড়ে আন্দোলন করবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রস্তাব দিয়েছি ওয়াকফ সম্পত্তি গুলোকে কম্পিউটারাইজড করতে। কম্পিউটারে চলে এলে কেউ নষ্ট করতে পারবে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে পার্লামেন্টে বক্তব্যের মাধ্যমে বিরোধীতার জন্য সাংসদ নাদিমুল হক ও সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দুজনকে ঠিক করা হয়েছে। ইমামদেরকে জুমার খুতবায় নারীর মর্যাদা নিয়ে বক্তব্য রাখার জন্য অনুরোধ করেন। এছাড়াও তিনি জমিয়ত বহুমুখী কাজকর্ম, রাবেতা বোর্ডের পঠনপাঠন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও জাতীয় সংহতির উপর বক্তব্য রাখেন। জেলা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা বদরুল আলম বলেন ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে জেলা জমিয়তের কর্মী সমর্থকরা যে ভাবে কাজ করেছে তা প্রশংসা যোগ্য। জেলা জমিয়তের সেক্রেটারী মুফতি রায়হানুল ইসলাম বিগত দিনে জেলা জমিয়তে উলামা কি কি কাজ করেছে তার রিপোর্ট তুলে ধরেন। মাষ্টার মাইনুল ইসলাম দেশাত্মবোধক কবিতা আবৃত্তি করে সকলের নজর কাড়েন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct