সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: বাঁকুড়ার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ পল্লীর বাদিন্দা শিবু মালাকার পেশায় ছিলেন মুটে। অভাবের সংসার কোনোভাবে চলত। গত ১১ আগষ্ট সিভিয়ার ব্রেইন স্ট্রোক হয় শিবুর। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে গত ১৬ আগষ্ট পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন শিবু। চিকিৎসায় সাময়িক সুস্থ হয়ে ওঠায় তাঁকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি বাড়ি ফিরে যান। পরে ফের তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ফের তাঁকে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেই নার্সিংহোমেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২আগষ্ট মৃত্যু হয় শিবুর। মৃতের পরিবারের দাবী বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি থাকাকালীন তাঁরা প্রত্যাশা মতোই চিকিৎসা পরিসেবা পেয়েছেন। নিয়মিত চিকিৎসকরা যেমন চিকিৎসা করেছেন তেমনই স্বাস্থ্য কর্মীরাও প্রয়োজনমতো পরিসেবা দিয়েছেন। শিবু মালাকারের নাম কীভাবে রাজ্য সরকার প্রকাশিত তালিকায় স্থান পেল তা নিয়ে রীতিমত হতবাক মেডিক্যাল কলেজে কর্তৃপক্ষও। জুনিয়ার চিকিৎসকদের আন্দোলনের জেরে শিবু মালাকারের চিকিৎসার কোনোরূপ গাফিলাতি হয়নি বলেই দাবী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। শিবু মালাকারের মৃত্যুর দায় ভাবে জুনিয়ার চিকিৎসকদের আন্দোলনের উপরে চাপিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারী জুনিয়ার চিকিৎসকরা। মৃতের পরিবার থেকে শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব পক্ষই বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসায় গাফিলাতির অভিযোগ অস্বীকার করলেও স্থানীয় তৃনমূল কাউন্সিলার কিন্তু এর দায় চাপিয়েছেন জুনিয়ার চিকিৎসকদের ঘাড়েই। তবে তাঁকে চেপে ধরতেই আমতা আমতা করে কোনোক্রমে পার পাওয়ার চেষ্টা করলেন। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে শিবু মালাকারের নাম ওই তালিকায় স্থান পেল কীভাবে? তবে কী শুধু রাজনৈতিক কারনে বা জুনিয়ার চিকিৎসকদের চাপে ফেলতেই শিবু মালাকারের মতো মৃত্যুকে হাতিয়ার করছে রাজ্য সরকার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct