আপনজন ডেস্ক: তিউনিসিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। তিউনিসিয়া রাজধানী তিউনিসে নাগরিকরা তাদের ভাষায়, দেশের অবনতিশীল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে, ক্ষোভ জানাতে রাস্তায় নেমে আসার একদিন পর এই প্রচারণা শুরু হয়।
চলতি বছরের শুরুতে কর্তৃপক্ষ মাসব্যাপী ব্যাপক গ্রেফতার শুরু করে। এরপর এটিই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ যেখানে শত শত তিউনিসীয় শুক্রবার শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করেছে এবং তাদের ভাষায়, পুলিশি রাষ্ট্রের অবসানের আহ্বান জানিয়েছে।
মিছিলে আসা খালেদ বেন আবদেসালাম, যিনি একজন বাবা এবং নগর উন্নয়ন পরামর্শদাতা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, ‘আমরা এখানে না বলতে এসেছি এবং এটাই দেখাতে এসেছি দেশে আসলে যা ঘটছে তার সাথে আমরা সবাই একমত নই।’
এর আগে ২০১১ সালে দেশব্যাপী বিক্ষোভের মুখে তিউনিসিয়ার দীর্ঘ দিনের প্রেসিডেন্ট জিনে এল আবিদিন বেন আলীর পতন ঘটে। তিউনিসিয়ার সূত্র ধরে গোটা আরব বিশ্বে বিদ্রোহ দেখা দেয়।
‘কোথায় স্বাধীনতা? কোথায় গণতন্ত্র?’ এক দশকের বেশি সময় পরে বেন আবদেল সালেম বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি কাইস সাইয়েদের অধীনে কারাগারে নিক্ষিপ্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। তিউনিসিয়া তার বাচ্চাদের ভালোর জন্য ‘পাতা উল্টাবে’ এটা তিনি নিশ্চিত করতে চান।
তিউনিসিয়ার শক্তিশালী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে যাওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘আজ আর কেউ কিছু বলার বা করার সাহস পাচ্ছে না।’
বিক্ষোভকারীরা সকলে তিউনিসিয়ার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দুর্দশাসহ বিভিন্ন বিষয়ের ব্যানার বহন করে। দেশটির নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ক্রমবর্ধমান ব্যয় এবং নাগরিক স্বাধীনতা নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ পাচ্ছে এতে। কিছু ব্যানারে লেখা ছিল : ‘চিনি কই? তেল কই? কোথায় স্বাধীনতা? গণতন্ত্র কোথায়?‘
কেউ কেউ তাদের ব্যানারে লিখেন, ‘মানবাধিকার নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।’
অন্যরা পুরনো যেসব স্লোগান বেন আলীর বিরুদ্ধে জনগণকে উৎসাহ দিয়েছিল, সেগুলো ব্যবহার করছেন। সেগুলোর লক্ষ্য এখন হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct