আরবাজ মোল্লা, নদিয়া, আপনজন: প্রাকৃতিক দুর্যোগে গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা ভেঙে চলে গেল নদীবক্ষে। আতঙ্কে গোটা গ্রামের মানুষ। অবিলম্বে পাকাপোক্ত ভাবে নদীর পাড় বাঁধানোর কাজের দাবি গ্রামবাসীর। নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর পঞ্চায়েতের চৌধুরীপাড়া এলাকার ঘটনা। জানা যায় এই গ্রামে রয়েছে কয়েক হাজার পরিবারের বসবাস। গত কয়েক মাস আগে নদীর পাড়ে কালো বস্তা দিয়ে বাঁধানোর কাজ শুরু করে ইরিগেশন দফতর। তার মাঝে গত তিনদিনের অতি ভারী বৃষ্টিপাতে এবার বড়ভাঙনের কবলে পড়ল গোটা গ্রাম। চৌধুরীপাড়ার ভাগীরথী নদীর তীরে রয়েছে গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা, প্রথমে ভাঙন শুরু হয় নদীর পারে, এরপর ভাঙতে ভাঙতে রাস্তার বেশি অংশ ভেঙে যাওয়ায় চলাফেরা করতে পারছে না গ্রামের মানুষ। এমনিতেই বৃষ্টিপাতের কারণে বেড়েছে জলস্তর, মাঝেমধ্যে ঝড়ো হাওয়ায় বেড়েছে জলোচ্ছ্বাস, আর তার জেরেই এই ভাঙন বলে দাবি করছেন গ্রামবাসীরা। তারা চাইছেন প্রাথমিকভাবে বালির বস্তা ফেলে এইভাবে ভাঙন রোখা সম্ভব নয়, একটি গ্রামের কথা মাথায় রেখে প্রশাসনকে অবিলম্বে পাকাপোক্তভাবে ভাঙন রোধ করার ব্যবস্থা করতে হবে, না হলে ভাগীরথী নদীর তীরে রয়েছে বিঘা বিঘা চাষের জমি এরপর যদি আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুরু হয় তাহলে চাষের জমিগুলো নদীতে তলিয়ে যাবে। না খেয়ে মরতে হবে তাদের। এমনিতেই ভয়ানক ভাঙনের কারণে রাতের ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের। হরিপুর পঞ্চায়েতের প্রধান বীরেন মাহাতো বলেন, বিগত দিনে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন নদীর ভাঙনের কথা, তখন শুরু হয়েছিল প্রাথমিকভাবে বালির বস্তা ফেলে ভাঙনরোধ করার কাজ। কিন্তু গ্রামের এখন যা পরিস্থিতি তা খুবই চিন্তার বিষয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct