সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবীতে সরব তৃণমূল সদস্যরাই, ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে গন্ডগোলেই গোষ্ঠীদ্বন্দ দাবী বিরোধীদের। পঞ্চায়েত পরিচালনার ক্ষেত্রেও এবার সামনে চলে এল শাসক তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ। গোষ্ঠীদ্বন্দ এমন জায়গায় পৌঁছাল যে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে অপসারনের দাবীতে সরব হলেন পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যরাই। ঘটনা বাঁকুড়ার তৃণমূল পরিচালিত তালডাংরা গ্রাম পঞ্চায়েতের। বাঁকুড়ার তালডাংরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫ টি আসনের মধ্যে ১১ টি আসন তৃণমূলের দখলে। ৩ টি আসন বিজেপি ও ১ টি আসন সিপিএম এর দখলে। সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন তৃণমূলের দখলে থাকায় ওই পঞ্চায়েতের প্রধান রয়েছে তৃণমূলের। সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের তরফে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ২০ জন করে তরুণ তরুণীকে প্রশিক্ষণের জন্য নামের তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়। আর সেই তালিকাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ। তৃণমূলের সদস্যদের একাংশের দাবী পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যদের সঙ্গে কোনোরকম আলোচনা না করেই নিজের ইচ্ছামতো তালিকা তৈরী করে বিডিও অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। অন্যান্য ক্ষেত্রেও পঞ্চায়েত সদস্যদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখা হয় বলে অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগকে সামনে রেখেই পঞ্চায়েত প্রধান অরুণ ঘোষকে অপসারণের দাবীতে তালডাংরার বিডিও এবং বাঁকুড়া লোকসভার সাংসদের কাছে লিখিত আবেদন জানান ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের নির্বাচিত অপর ১০ জন সদস্য সদস্যা। তাঁদের দাবী পঞ্চায়েত প্রধানের এই কাজকর্মের ফলেই গত লোকসভা নির্বাচনে এলাকায় তৃণমূলের ফলাফল খারাপ হয়েছে। অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবী পঞ্চায়েতের সকল সদস্যকে ডেকেই সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুধুমাত্র তাঁকে কালিমালিপ্ত করতেই এমন মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। বিরোধী বিজেপির দাবী তৃণমূলের অন্দরেই বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে গন্ডগোলের জেরেই এমন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct