নাজমুস সাহাদাত, কালিয়াচক, আপনজন: মালদায় ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে সেমিনার হল সুজাপুরের নয় মৌজা সুবিহানিয়া হাই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে। এদিন শনিবার নয়মৌজা বাসীর পরিচালনায় যে জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটির যৌথ সংসদীয় কমিটির ওয়াকাফ সংশোধনী ২০২৪ এর উপর জনসাধারণের মতামত প্রকাশ চাওয়া হয়েছিল তা কিন্তু যথাযথ ভাবে বহু মুসলিম জনসাধারণ সেই বিলের বিরুদ্ধে ভার্চুয়াল মতামত প্রকাশ করেছেন। তবে তারা মনে করছেন, জনগণের মতামত প্রাপ্তির পর এই বিলকে তৎক্ষণাৎ প্রত্যাখ্যান করা সম্ভব নয়। ওই ওয়াকফ সংশোধনী বিলকে প্রত্যাখ্যান করতে হলে আমাদেরকে গোটা দেশজুড়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এই বিল পাশ হয়ে গেলে মুসলমানদের ধর্মীয় স্থান সমূহ সংরক্ষিত থাকবে না, ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ওয়াকফ সংশোধনী বিলকে প্রত্যাখ্যান করার জন্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন গড়ে উঠেছে তার একটি বিশেষ অংশ সুজাপুর নয়মৌজায় ওয়াকফ সংরক্ষণ সেমিনার। এদিনের সেমিনারে বিশিষ্ট আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য মাওলানা আবু তালিব রহমানী, গৌর বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাওলানা সাইফুদ্দিন, মুর্শিদাবাদের মানিকচক হাই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা ড: মুহাম্মদ শরীফুজ্জামান। এছাড়াও সুজাপুর নয়মৌজা বাসীর পরিচালনায় সভাপতি সাজ্জাদ খান, সম্পাদক মুহাম্মদ হামিদুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মুফতি মুহাম্মদ ফাহিম ও ড: মুহাম্মদ ফারিদুর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের মালদা জেলা সভাপতি হাফেজ ক্বারি মুহাম্মদ নাজরুল ইসলাম, এছাড়াও বহু স্থানীয় শিক্ষাব্রতী অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। এই সেমিনারের আয়োজক মুহাম্মদ হামিদুর রহমান বলেন, কেন্দ্র সরকার যে ওয়াকাফ বিল আনতে চলেছে তার প্রতিবাদে আজকে আমাদের সুজাপুরের নয়মৌজা সুবহানিয়া হাই মাদ্রাসায় একটি প্রতিবাদ সভা। ভারতবর্ষে যে ওয়াকাফ এর অর্থাৎ মুসলমানদের সম্পত্তি যা ভারতবর্ষের মুসলমানরা দান করে গেছেন, মুসলমানদের কল্যাণ এর জন্যে, শিক্ষার, স্বাস্থের, মসজিদ, মাদ্রাসা, খানকা, কবরস্থান আরও কতকিছু জরিয়ে আছে আর এটাকে সরকার আইন করে ভাঙতে চাইছে। এটা মুসলমানদের সম্পত্তি অতএব এর রক্ষণাবেক্ষণ ও হিসাবপত্র ও উন্নয়নের কাজে লাগাবেন। মুসলমানদের সম্পত্তি কোনোভাবে অন্যদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না তার জন্যই আমাদের এই প্রতিবাদ। আমরা সরকারকে এটাই বলব যে বিল কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে এটা যেন প্রত্যাহার করেন এবং মুসলমানদের কাছে যুগের পর যুগ ধরে ছিল এভাবেই যেন চলে। এছাড়াও বলেন, এই বিল আটকাতে আমরা স্বাক্ষর গ্রহণ করছি এবং এই স্বাক্ষর করে ফোনের মাধ্যমে পাঠিয়েছি যা প্রায় সাড়ে তিনকোটি ছাড়িয়েছে। এরপরেও আমরা আরও স্বাক্ষর গ্রহণ করব ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাব এবং এর সুরাহার আবেদন জানাব।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct