আজিজুর রহমান,গলসি, আপনজন: নিয়ম মেনে ও ফলকের লেখা অনুয়ায়ী হয়নি রাস্তার ঢালাই এমনই অভিযোগ নিয়ে সোমবার ঠিকেদারকে ঘেরাও করে রাখেন গ্রামের বহু মানুষ। ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে গলসি ১ নং ব্লকের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমনোড়ী গ্রামে। গ্রামবাসীদের এক অংশের অভিযোগ, রাস্তার ফলকে লেখা আছে সিমনোড়ী নাপিত পাড়া থেকে প্রাইমারি স্কুল প্রযন্ত ঢালাই রাস্তা নির্মান। তবে সেই রাস্তা প্রাইমারি স্কুলের আগেই শেষ হয়ে গেছে। ঠিকেদার ফলক লাগিয়ে দিয়েছে রাতের অন্ধকারে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার গলসি ১ নং ব্লক বিডিও কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তারা। এরপরই বৈকাল নাগাদ রং মিস্ত্রী নিয়ে ঠিকেদার ফলক অর্থাৎ বোর্ডের কাছে এলেই তাকে আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রামবাসীরা। তাদের দাবী ওই কাজে দুর্নীতি হয়েছে। যাতে ঠিকেদার ও প্রধান যুক্ত আছে।
জানতে পারা গেছে, ওই রাস্তা নির্মাণে বরাদ্দ হয়েছিল ৩,৪৯,৫২৪ টাকা। যা দিয়ে প্রাইমারি স্কুল প্রযন্ত ঢালাই হবার কথা। তবে প্রাইমারি স্কুলের অনেক আগেই শেষ করায় ক্ষোভ গ্রামবাসীদের। অমর বটব্যাল বলেন, সিডুল মেনে কোন কাজ হয়নি। ৬ ইঞ্চি ঢালাই হবার কথা থাকলেও ৩ ইঞ্চি ঢালাই করা হয়েছে। তাছাড়াও রাস্তা যতটা চাওড়া করার কথা ছিল ততটা চাওড়া করা হয়নি। যদি গোটা কাজ না হয় তাহলে বোর্ডে লেখা হল কেন। আমরা বিডিওকে অভিযোগ করেছি বলে রং মিস্ত্রী এনে মুছতে এসেছিল। এদিকে গ্রামবাসীরা প্রশ্ন তোলেন, প্রাইমারি স্কুল প্রযন্ত এস্টিমেট না হলে বোর্ড লেখা হল কার নির্দেশ ? এদিকে বিডিও অফিসে অভিযোগের পর ইওই লেখা ঠিকেদার মুছতে আসায় রহস্যের দানা বাঁধে গ্রামবাসীদের মনে। তারা একে একে জড়ো হন ফলকের কাছে। বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান পুস্স রুইদাস জানান, যত টাকা বরাদ্দ হয়েছে তত টাকারই কাজ হয়েছে। নিয়ম মেনেই কাজ হয়েছে। ওরা তদন্ত করছে করুক।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct