আপনজন ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতাল ইস্যুতে অচলাবস্থা কাটাতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবান্নে আলোচনার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব এন এস নিগম বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের পাঠানো ই-মেলে জানিয়েছেন, ‘আপনার ছোট প্রতিনিধি দল (সর্বাধিক ১০ জন) এখন নবান্নে গিয়ে সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন।’
সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সদর দফতরের সামনে ধর্নায় বসা আন্দোলনরত চিকিৎসকদের নেতা ডা. দেবাশিস হালদার বলেন, যোগাযোগের ভাষা চিকিৎসকদের জন্যই অসম্মানজনক, এটা নিতান্তই অসংবেদনশীল। আমরা এই মেলের জবাব দেওয়ার কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।
রাজ্যের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা থাকলেও দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ‘কর্মবিরতিতে’ থাকা সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিবাদী চিকিৎসকরা কাজে ফেরার জন্য সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া বিকেল পাঁচটার সময়সীমা অমান্য করে ‘স্বাস্থ্য ভবনে’ থাকার এবং তাদের দাবিদাওয়া আদায়ের ইচ্ছার কথা জানান।
এদিন সকালে ‘ স্বাস্থ্য ভবন স্বচ্ছ অভিযান’ পদযাত্রায় উদ্দীপ্ত চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার অধিকর্তার পদত্যাগ দাবি করেন। বিক্ষোভকারীরাও শীর্ষ আদালতের সময়সীমার সঙ্গে মিল রেখে বিকেল ৫টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন, যাতে রাজ্য প্রশাসন তাদের দাবি মেনে চলবে।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার কিছু পরে নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দাবি করেন, সন্ধে ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের অফিসিয়াল আইডিতে ই-মেল পাঠানো হয়। চিকিৎসক প্রতিনিধি দলের বৈঠকে আসার অপেক্ষায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় তিনি সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ অফিস থেকে বেরিয়ে যান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct