আপনজন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত প্রকাশ্যে। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করছেন এই অভিযোগ ঘিরে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। সু্প্রিম কোর্ট অবশেষে নির্দেশ দেয় রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সার্চ ও সিলেকশন কমিটি উপাচার্য নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবে। সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশ মেনে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর রাজ্যের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের জন্য সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে যাকে ঘিরে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। রাজ্যের সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের অন্তর্গত আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে উচ্চশিক্ষা দফতরের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সন্নিবিষ্ট করায় এই বিতর্কের সূত্রপাত। রাজ্য বিধানসভায় পাস হওয়া আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৭ মোতাবেক আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় হল রাজ্যের সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের অন্তর্গত একটি স্বায়ত্তশাসিত সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু উচ্চ শিক্ষা দফতরের উপাচার্য নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় হল রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের অধীন। তাই সংখ্যালঘু মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এখন থেকে উচ্চ শিক্ষা দফতরের অধীনে? এই পরিবর্তন আনতে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৭-এর সংশোধনী আনার প্রয়োজন আছে বলে আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তবে, বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক সৃষ্টির অবকাশ রয়েছে। কারণ, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আলিয়া সংখ্যালঘু দফতরের আওতাধীন বলা হলেও ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট কাউন্সিল অফ হায়ার এডুকেশনের ওয়েবসাইটে ‘Universities under purview of department ’ -এর আওতায় বিধানচন্দ্র কৃষি বিদ্যালয়, পশ্চিমবঙ্গ আইন বিশ্ববিদ্যালয় সহ যে ছটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা রয়েছে তাতে একেবারে শেষে রয়েছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। তাই প্রশ্ন উঠছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এখন সংখ্যালঘু দফতর না উচ্চ শিক্ষা দফতর— কার অধীনে?
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct