আপনজন ডেস্ক: ২০২৪ সালটা বোধ হয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বছর, ছক্কার বছর। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস ও গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের ম্যাচে হয়েছে ৪২টি ছক্কা, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে সর্বোচ্চ।
এ বছরের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও পাঞ্জাব কিংসের ম্যাচে সমান ৪২টি ছক্কা হয়েছিল। এক ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কা ৩৮টি, যা সর্বশেষ আইপিএলে হয়েছে দুবার। অর্থাৎ স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ছক্কার তালিকার প্রথম চারটি ম্যাচই হয়েছে এ বছর।
সিপিএলে বাংলাদেশ সময় আজ ভোরে ওয়ার্নার পার্কে হওয়া সেন্ট কিটস–গায়ানা ম্যাচে ‘অদ্ভুত’ এক ইনিংস খেলেছেন শিমরন হেটমায়ার। গায়ানার এই ব্যাটসম্যান ৩৯ বলে করেছেন ৯১ রান, যে ইনিংসে একটিও চার ছিল না, ছক্কা মেরেছেন ১১টি।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে হেটমায়ারই প্রথম ব্যাটসম্যান, যিনি চারহীন ইনিংসে ১০ বা এর চেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন। তাঁর বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে গায়ানা তোলে ২৬৬ রান। ১ রানের জন্য সিপিএলে সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড ছোঁয়া হয়নি তাদের। ২০১৯ সালে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স তুলেছিল ২৬৭ রান। পর্বতসম লক্ষ্য তাড়া করে নেমেও একপর্যায়ে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল স্বাগতিক সেন্ট কিটস। শেষ পর্যন্ত তারা ২২৬ রানে অলআউট হয়। ছক্কা–উৎসবের ম্যাচটি ৪০ রানে জিতে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গায়ানা।
আগে ব্যাটিং করা গায়ানা সব মিলিয়ে ছক্কা মারে ২৩টি। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কা আসে রহমানউল্লাহ গুরবাজের ব্যাট থেকে। ৬৯ রানের ইনিংস খেলার পথে এই আফগান ওপেনার ছক্কা মারেন ৬টি। লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ৯ ওভারে ১৩৯ রান তুলে ফেলে সেন্ট কিটস। ইনিংসে দশম ওভারে গায়ানা অধিনায়ক ইমরান তাহির কোনো রান না দিয়ে উইকেট নেন দুটি। তাতেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। শেষ পর্যন্ত সেন্ট কিটস গুটিয়ে যায় ২ ওভার বাকি থাকতে। সেন্ট কিটসের ব্যাটসম্যানরা ছক্কা মারেন ১৯টি, যার ৯টিই আসে ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচারের ব্যাট থেকে। তবে তাঁর ৩৩ বলে ৮১ রানের ইনিংসটি বৃথা গেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct