আপনজন ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ইন্দোনেশিয়া সফর করছেন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের চার দেশ সফরের অংশ হিসেবে দেশটি সফর করছেন তিনি। এরপর তিনি পাপুয়া নিউগিনি, পূর্ব তিমুর ও সিঙ্গাপুর যাবেন। ৮৭ বছর বয়সি পোপ ফ্রান্সিস তৃতীয় পোপ হিসেবে ইন্দোনেশিয়া সফরে গেছেন। শেষবার ১৯৮৯ সালে পোপ দ্বিতীয় জন পল ইন্দোনেশিয়া সফর করেছিলেন।
দেশটিতে চরমপন্থা ও অসহিষ্ণুতা মোকাবিলা করতে ধর্মীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস।
বুধবার সকালে ইন্দোনেশিয়ায় দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সাথে দেখা করার পর এই কথা বলেন তিনি।
পোপ বলেন, ‘একটি শান্তিপূর্ণ ও ফলপ্রসূ সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আন্তঃধর্মীয় সংলাপ জোরদার করতে চায় চার্চ।’
চরমপন্থিরা ধর্মের বিকৃতির মাধ্যমে প্রতারণা ও সহিংসতা ব্যবহার করে তাদের মতামত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট উইদোদোও বলেন, ‘ভ্যাটিকানের সঙ্গে মিলে ইন্দোনেশিয়া একটি ক্রমবর্ধমান অশান্ত বিশ্বের মধ্যে স্বাধীনতা ও সহনশীলতা ছড়িয়ে দিতে চায়।’
ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ৮০ লাখ ক্যাথলিক খ্রিষ্টান বাস করেন, যা মোট জনসংখ্যার তিন শতাংশের কম। আর মুসলমানের সংখ্যা ২৪ কোটি ২০ লাখ, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৭ শতাংশ। ইসলাম ও খ্রিষ্টান ধর্ম ছাড়াও আরো চারটি ধর্মকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় ইন্দোনেশিয়া। এগুলো হলো হিন্দু, বৌদ্ধ, প্রোটেস্ট্যান্ট ও কনফুসিয়ানিজম।
মসজিদ ও ক্যাথিড্রালের মধ্যে একটি ‘বন্ধুত্বের টানেল’ রয়েছে, যেটি এই দুই ধর্মের প্রার্থনাস্থলকে সংযোগ করেছে। পোপ ২৮ মিটার টানেলটি পরিদর্শন করেছেন, যা ইস্তিকলাল মসজিদকে রাস্তার ওপারে একটি ক্যাথলিক ক্যাথেড্রালের সঙ্গে সংযুক্ত। বৃহস্পতিবার জাকার্তায় অবস্থিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় ইস্তিকলাল মসজিদে স্বীকৃত ছয় ধর্মের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন পোপ ফ্রান্সিস।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct