নিজস্ব প্রতিবেদক, মুর্শিদাবাদ, আপনজন: টিকিট ছাড়াই সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে ট্রেনে যাত্রা করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল। ভাইরাল হওয়া বিতর্কিত ওই ভিডিও ফুটেজের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে রাজ্য জুড়ে। ওই কামরাতেই ছিলেন তৃণমূলের জলঙ্গির বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক। (ভিডিও ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি আপনজন)। এই বিষয়ে পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, ‘এরকম ঘটনা হতে পারে, কেননা অনেকেই ম্যানেজ করে ট্রেনে যাত্রা করেন। তবে এরকম কোনও অভিযোগ এখনও পর্যন্ত দপ্তরে জমা হয়নি।’
তবে বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডলের পাল্টা দাবি, ‘ওই মহিলার বাড়ি জিয়াগঞ্জ এলাকায়। এদিন তিনি একটি সাধারণ টিকিট কেটে ট্রেনে চেপেছিলেন। টিকিট পরীক্ষক তাঁর কাছে ৫০০ টাকা দাবি করেছিলেন। ওই টাকা তিনি দিতে অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে আমার সঙ্গে দেখা হলে তাঁকে আমার পাশের সিটে বসার জায়গা করে দিই। আমরা জনপ্রতিনিধি, কোনও মানুষ অসুবিধায় পড়লে তাঁকে পরিষেবা দেওয়া আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। এদিন আমার সহকারী আসেননি। তাঁর জায়গায় ওই মহিলাকে বসতে দিয়েছিলাম, এটা কোন অপরাধের মধ্যে পড়ে জানি না।’ ডিআরএমের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ করা হবে বলেও দাবি করেন বিধায়ক।
সূত্রের খবর, সোমবার মালদহ-হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে খাগড়াঘাট স্টেশন থেকে হওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন নবগ্রামর বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সে সময় বিধায়ক এসি চেয়ারকার কোচে বসেছিলেন। খাগড়াঘাট স্টেশন ছাড়তেই টিকিট পরীক্ষক বিধায়কের পাশে বসে থাকা মহিলার টিকিট দেখতে চান। তখন বিধায়ক নিজের পরিচয় দিয়ে টিকিট পরিক্ষককে বলেন, ‘উনি আমার সফর সঙ্গী।’ তার পরেও মহিলার কাছে টিকিট চাইতেই বিধায়ক ও টিকিট পরীক্ষকের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পরিস্থিতি সামাল দিতে কানাইবাবুর সমর্থনে গলা মেলান জলঙ্গির তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক। ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই সাধারণ মানুষ ও সমাজ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অবশ্য এই বিষয়ে বিধায়ক খাগড়াঘাট রোডের স্টেশন ম্যানেজারের কাছে তাঁর টিকিটের পিএনআর নম্বর উল্লেখ করে একটি অভিযোগ জমা করেছেন।
সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিধায়ক পরিচয় জানার পরেও তার সম্মানহানি করা হয়েছে। তার বৈধ টিকিট থাকা সত্বেও তাকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। তাকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু এই সমস্ত অভিযোগ কার বিরুদ্ধে তা স্পষ্ট করেননি বিধায়ক কানাইচন্দ্র মন্ডল।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct