আপনজন ডেস্ক: অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আমেরিকা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ। আমেরিকার জিডিপি বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রায় ৩৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। আমেরিকার ওপর বিশ্বের অনেক দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। চীন, কানাডা, মেক্সিকো, জাপান ও জার্মানি থেকে আমেরিকা সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে।
তবে মার্কিন অর্থনীতিতে এখন যে আচরণ দেখা যাচ্ছে, তা রীতিমতো রহস্যময়। লাখ লাখ কর্ম খালির বিজ্ঞাপন আসছে; বেকারত্বের হারও কম। বেকারত্বের হার গত কয়েক দশকে আর কখনোই এতটা দীর্ঘ সময় নিম্নমুখী ছিল না। বেকারত্বের হার কম থাকলে মানুষ ধরে নেয়, অর্থনীতি ভালো করছে। কর্মসংস্থানের হার কমে যাওয়ার সঙ্গে বৃহত্তর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সম্পর্ক আছে। তবে জানা গেছে, দেশটির‘জেন–জি’ প্রজন্মের মানুষের বড় একটি অংশ ক্রেডিট কার্ডে বিপুল পরিমাণে ঋণ নিয়ে ব্যয় নির্বাহ করছেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে ব্যাংকগুলো এখন তাদের আর ঋণ দিতে চাইছে না। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে যে ভালো খবরের সঙ্গে এমন আরো খবর আসছে, যা দেখে অর্থনীতিবিদদের হোঁচট খেতে হচ্ছে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, দেশটির অর্থনীতি এখন বেশ চাঙা, যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে উদ্বেগের অবকাশ রয়েছে। সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে জানা গেছে, ২০২২ সালের গ্রীষ্মকালে মূল্যস্ফীতির হার সবচেয়ে উঁচু পর্যায়ে উঠলেও এখন তা অনেকটা কমে এসেছে। যদিও ফেডারেল রিজার্ভের ঠিক করা ২ শতাংশ মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আরো বেশ খানিকটা সময় লেগে যাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি হ্রাসের ধারা সম্প্রতি অবশ্য শ্লথ হয়েছে এবং এ ধারা ধীর হয়ে যাওয়ায় ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালারসহ নীতিনির্ধারকেরা বিস্মিত হয়েছেন। তারা মনে করেছিলেন, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের মধ্যে নীতি সুদহার কমানোর বাস্তবতা তৈরি হবে। কিন্তু চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে মূল্যস্ফীতির হার ও অর্থনৈতিক গতি বেশি থাকায় তাদের সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তবে এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতির হার আবার কিছুটা কমেছে, এটাকে স্বস্তিকর বলেই মানছেন ক্রিস্টোফার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct