সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: সন্দীপ ঘোষ সহ ৪ জনকে সিবিআই নিজাম প্যালেস থেকে মঙ্গলবার দুপুরে বের করে আলিপুর আদালতে পেশ করে । আদালত ধৃত সন্দীপ ঘোষ সহ সকলকে ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার দুপুরে নিজাম প্যালেস থেকে আদালতের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে যখন তাদের নিজাম প্যালেস থেকে গাড়িতে তোলা হচ্ছিল সেই সময় কয়েক হাজার মানুষ নিজাম প্যালেস চত্বরে জড় হয়ে চোর চোর বলে চিৎকার করতে থাকে।আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সহ ৪ জনকে। নিজাম প্যালেস থেকে সন্দীপ সহ ৪ জনকে সিবিআই যখন বার করে তখন নিজাম প্যালেস চত্বরে চোর চোর বলে বিক্ষোভ দেখান সেখানে জড়ো হওয়া বহু সাধারণ মানুষ। সিবিআই এর গাড়ির ঘিরে বিক্ষোভ চলে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঠেলে ভিড় সরায়। সিবিআই আধিকারিকরা দুটি লাল কাপড় এ বেশ কিছু নথি নিয়ে যায় আদালতে ।মামলা সংক্রান্ত যে তথ্য তদন্তে সংগ্রহ করে তদন্তকারী অফিসাররা সেই নথি আদালতে পেশ করে সিবিআই । আলিপুর আদালতে তদন্তের স্বার্থে নথি পেশ করে সিবিআই ধৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদে প্রয়োজন আছে বলে তাদের হেফাজতে দেওয়ার আবেদ জানায়। সেই আবেদনে সাড়া দেয় আদালত। ৪ দিনের জন্য ধৃত সন্দীপ ঘোষ সহ ৪ জনকে আগামী ৮ দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে পাঠায় আদালত। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, পর পর ১৫ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করে সোমবার সন্ধ্যায় আরজি করে প্রাপ্ত অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সহ চারজনকে গ্রেফতার করে সিবিআই এর আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা। গ্রেপ্তারের পর সোমবার সারারাত নিজাম প্যালেসে রাখা হয় সন্দীপ সহ আরো তিনজনকে। মঙ্গলবার দুপুর তিনটে নাগাদ আর জি কর হাসপাতালে প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সহ চারজনকে যখন আদালতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বের করা হয় তখন তারা আমজনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ে। এর আগে নিজাম প্যালেস থেকে বের করার সময়ও তাদের দেখে চোর চোর শ্লোগান দিতে থাকে আমজনতা। বিক্ষোভ এড়াতে সিবিআই আদালতের পিছনের দরজা দিয়ে সন্দীপ সহ চারজনকে এজলাসে প্রবেশ করায়। তাদের প্রত্যেকের মুখে ছিল মাস্ক। আদালতে সন্দীপ ঘোষ কে মাস্ক পড়া অবস্থায় পেশ করা হলে মুখের মাস্ক খোলার দাবি ওঠে। রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোর্ট রুম। বাধ্য হয়ে মুখের মাস্ক খুলে নেন প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ। শুনানি চলাকালীন আদালতে সিবিআই দাবি করেন এই দুর্নীতির পেছনে আরো অনেকে আছে। তাদের নাগাল পেতে অন্তত ১০দিনের জন্য হেফাজতে দেওয়া হোক ধৃতদের। আদালত ৮দিনের সিবিআই হেফাজত অনুমোদন করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct