সাবের আলি, বড়ঞা, আপনজন: প্রায়দিন বন্ধ রাখা হয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এমনকি কেন্দ্র খোলা থাকলেও মেলে না শিশুদের পুষ্টিকর আহার। তাই সোমবার সাত সকালেই বড়ঞা থানার ৬৩ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। প্রায় দুইঘণ্টা বিক্ষোভের পর সেখানে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা এসে কেন্দ্র খুলে দেন। যা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সাত সকালেই ওই কেন্দ্রে শতাধিক মহিলা এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, সপ্তাহের অন্তত চারদিন কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়। ওই চারদিন শিশুদের কোন পুষ্টিকর খাবার মেলেনা। আবার বাকিদিন গুলি কেন্দ্র খোলা থাকলেও ঠিকমত খাবার মেলে না। শুধুমাত্র খিচুরি ছাড়া অন্য কোন খাবার দেওয়া হয় না। খিচুরিতে আবার এতটাই জলের পরিমাণ বেশি থাকে যে শিশুরা তা মুখেও তুলতে পারে না। বিক্ষোভকারি আসিয়া বিবি বলেন, প্রায়দিন এখানে আসি আর সেন্টার বন্ধ দেখে বাড়ি ফিরে যায়। বন্ধের কারণ জীজ্ঞাসা করলেই আমাদের কটু কথা শুনতে হয়। শিশুদের পড়াশুনাও একেবারে হয় না। অপর বিক্ষোভকারি সারজিনা বিবি বলেন, সেন্টারের দিদিমণিদের কোন কথা বলার উপায় নেই। উনাদের প্রতিবাদ করলে বলেন বিডিওকে অভিযোগ জানাও। আমরা ইচ্ছেমত সেন্টার খুলব। যদি কিছু করার থাকে তো করেও।
এদিকে এদিন সকাল ১০টা বেজে গেলেও সেন্টার তখনও বন্ধ রাখা হয়। সেন্টারের প্রধান গেটে তখনও তালা ঝুলছে। এমন সময় সেখানে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মি শওজানারা খাতুন আসেন। তিনি পৌঁছান মাত্রই বিক্ষোভ মুখে পড়েন। তিনি বলেন, আমি দেরিতে এলেও সহায়িকার কাছে সমস্ত সরঞ্জাম রেখে যায়। ওর কাজ হল সকালে এসে রান্না চাপিয়ে দেওয়া। কিন্তু প্রায়দিন সহায়িকা আসেনা। তবে আমি চেষ্টা করি যাতে প্রতিদিন সেন্টার খোলা থাকে। এদিনও সেন্টার বন্ধ থাকলেও আমি এসে খুলে দিয়েছি। যদিও সহায়িকা জানেরা বিবি বলেন, আমার কোন দোষ নেই। সেন্টার খোলার কথা দিদিমণির। আমার রান্না করার কথা। উনি আসেননা বলেই সেদিন রান্না হয় না। কাজেই রান্না না হলে ঝাগমেলা হবে। সেই কারণেই সেন্টার বন্ধ রাখা হয়।
যদিও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সেন্টারের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকার মধ্যে ঝামেলার জেরেই এখানে অচলাবস্থা চলছে। দুইজনের মত পার্থক্যের জন্য দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিশু ও তাঁদের অভিভাবকরা। অবিলম্বে প্রশাশনিক হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। বড়ঞা বিডিও গোবিন্দ দাস ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct