মারুফা খাতুন, কলকাতা, আপনজন: প্রথমবার ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। টাইব্রেকারে জয়ের হ্যাটট্রিক হল না মোহনবাগানের। জন আব্রাহামের উপস্থিতি যেন অতিরিক্ত তাগিদ জুগিয়েছিল নর্থইস্ট ইউনাইটেড ফুটবলারদের। টাইব্রেকারে অনবদ্য জয়। ১৮ নম্বর ট্রফিটি হাতছাড়া হয়ে গেল মোহনবাগানের। কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি ফাইনাল, টাইব্রেকারে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগানে। তাই স্বভাবতই মনে হচ্ছিল যে মোহনবাগান-ই জিতবে নির্ধারিত সময়ে।
২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও নির্ধারিত সময়ে জিততে পারেনি তারা। শেষ দুই ম্যাচের মতো ফাইনালেও মোহন বাগানের ভরসা ছিল বিশাল কাইথের ওপর। কিন্তু টাইব্রেকারে হ্যাটট্রিকের জয়ের হাসি হাসতে পারল না মোহনবাগান। ম্যাচের ১১ মিনিটের মধ্যেই ১-০ গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। বক্সে জার্সি ধরে টানায় আশির আখতার, সাহাল আব্দুল সামাদকে ফাউল করেন। তাই রেফারিও দেরি করেননি ফাউল ও পেনাল্টি দিতে। জাসন কামিংস, মোহনবাগান কে পেনাল্টি থেকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেয়। উনিশ মিনিটে মোহনবাগান ২-০ -তে লিড নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল।
বল নিয়ে বক্সে প্রবেশ করেন গ্রেগ স্টুয়ার্ট। কিন্তু কোচ হোসে মলিনা সহ সমস্ত মোহনবাগান দর্শকের মাথায় হাত, কারণ শটটি একেবারে ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে সেই অনুশোচনা মেটান সাহাল আব্দুল সামাদ।
প্রথমার্ধেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ায় ১৮ নম্বর ট্রফি জয়ের আশা বাড়তে শুরু করেছিল সবুজ মেরুন শিবিরের। দ্বিতীয়ার্ধে অপ্রত্যাশিতভাবে খেলার রং হঠাৎই বদলে যায়। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড ম্যাচের ৫৬ ও ৫৮ মিনিটে পরপর দুটি গোল করে। তাই ফাইনাল গড়ায় শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারেই। টাইব্রেকারে জেসন কামিংসের প্রথম কিক মিস হয়।
নর্থ ইস্ট এর গোল রক্ষক গুরমিত কিন্তু তৃতীয় রাউন্ডের পেনাল্টিতে লিস্টন কোলাসের শট রুখে দেন। পার্থিবের কিক কিন্তু আটকাতে ব্যর্থ হন কাইথ।
ফলে খানিকটা অ্যাডভান্টেজ বেশিই ছিল নর্থ ইস্টের। এমনকি শুভাশিসের কিক-ও বাঁচিয়ে দেন গুরমিত আর এতেই বাজিমাত নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের। ৪-৩ ব্যবধানে রেকর্ড গড়ে জয়ী হলেন তারা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct