আপনজন ডেস্ক: বোলারদের জন্য প্রাণহীন পিচেও উচ্চতা এবং শক্তিকে কাজে লাগিয়ে গতি এবং বাউন্সারে ব্যাটারদের নাভিশ্বাস উঠাতে পারতেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। তার এই দক্ষতার কারণেই ক্যারিবিয়ানদের দুই পেসার প্যাট্রিক প্যাটারসন ও ইয়ান বিশপের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার কোর্টনি ওয়ালশ।
মরা পিচে গতির ঝড় তোলা সেই গ্যাব্রিয়েল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে আজ বিদায় জানিয়েছেন। অবসর নেওয়ার ঘোষণাটা নিজের ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন তিনি।
এতে করে তার এক যুগের ক্যারিয়ার থেমে থাকলো ২০২ উইকেটে। তিন সংস্করণ মিলিয়ে নামের পাশে এই উইকেটসংখ্যা বসাতে পেরেছেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে অবশ্য দীর্ঘ ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে গ্যব্রিয়েলের পথচলা থেমে ছিল। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট খেলার পর থেকেই জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছিলেন না এক সময়কার একাদশের নিয়মিত সদস্য।
পুনরায় জাতীয় দলের দরজা খুলতে না পারায় আনুষ্ঠানিকভাবেই জাতীয় দলের সঙ্গে পথচলাটা থামিয়ে দিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার বিষয়ে ইনস্টাগ্রামে গ্যাব্রিয়েল লিখেছেন,‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে গত ১২ বছর নিজেকে উৎসর্গ করেছিলাম। ভালোবাসার ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলতে পারাটা আমাকে প্রচুর আনন্দ দিয়েছে। তব সব ভালো জিনিসের একটা শেষ আছে।
আজ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি।’
২০১২ সালে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অভিষেক হয়েছিল গ্যাব্রিয়েলের। দীর্ঘতম সংস্করণই ছিল তার আসল ঠিকানা। এই সংস্করণেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তিনি। ক্যারিয়ারে ৫৯ টেস্ট খেলে ১৬৬ উইকেট নিয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী পেসার।
ইনিংসে ৬ বার পাঁচ উইকেট নেওয়া পেসারের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং হচ্ছে ৬২ রানে ৮ উইকেট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে তার ১২১ রানে ১৩ উইকেট ক্যারিবিয়ানদের চতুর্থ সেরা। অন্য দুই সংস্করণে কখনো থিতু হতে পারেননি তিনি। ২৫ ওয়ানেডে ৩৩ উইকেটের বিপরীতে ২ টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছে ৩ উইকেট।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct