এম মেহেদী সানি ও সমীর দাস, কলকাতা, আপনজন: বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। আর সেই দিনই বিজেপি ১২ ঘন্টার বাংলা বনধ ডেকেছে। সেই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে উঠে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ১৪ তারিখ মেয়েদের রাতদখলের ডাক দিয়েছিল। আমরা সম্মান জানাই। যাঁরা প্রতিবাদ করেছিলেন, ধর্ষণমুক্ত সমাজ গড়ার, যাঁরা দোষী, তাঁদের কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি। চার দিন কলকাতা পুলিশের হাতে কেস ছিল। ১৪ তারিখ আদালত সিবিআই-এর হাতে কেস দেয়। এখন বিষয়টা সিবিআইয়ের হাতে। অথচ ওরা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছে। কালকে যারা রাস্তায় নেমেছিল, কোনও ভদ্রলোককে আপনি দেখবেন না। এমন এমন ছাত্র কাল রাস্তায় নেমেছে, কেউ বলছে, আমি বিএসসি-তে অনার্স নিয়ে কমার্স পড়ছি। কেউ বলছে, আমার ২৩ বছর বয়স, ক্লাস ইলেভেন পড়ে। তাঁকে স্কুলের নাম জিজ্ঞাসা করলে বলছে ভুলে গেছি। তিনি বলেন, বিজেপিতে কোনো ভদ্রলোক নেই, সব পাতা খোরের দল।
তিনি আরও বলেন, ধর্ষণ বিরোধী আইন যদি কেন্দ্রের সরকার আগামী দু’চার মাসের মধ্যে না আনে, তা হলে দিল্লিতে তৃণমূল বৃহত্তর আন্দোলন করবে। আইনের দাবিতে আমরা দলগত ভাবে চিঠি লিখব কেন্দ্রীয় সরকারকে।’’
তিনি বলেন, যারা লাশের রাজনীতি করছে, নারী বিরোধী বিজেপি র কাছে বাংলার মানুষ শিখবে না। মমতার পদত্যাগ যারা দাবি করছে তাদের জানাই যারা সন্দেশখালি করে, মহিলাদের মান-সম্মান-সম্ভ্রম দু’হাজার টাকার বিনিময়ে দিল্লির বুকে বিক্রি করেছেন, তাঁদের নারী সুরক্ষা নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই। যাদের আমলে হাথরস, কাঠুয়া, বদলাপুর, উন্নাও হয়েছে, সেই নারী বিরোধী বিজেপির কাছে বাংলার মানুষকে রাজনীতি করা শিখতে হবে না ।”
নারী নির্যাতনের এক উত্তরপ্রদেশ , দুই মধ্যপ্রদেশ রাজস্থান , মহারাষ্ট্র। সব ডবল ইঞ্জিন সরকার। অভিষেক আরও বলেন, ভারতবর্ষে ধর্ষণবিরোধী কঠোর আইন আসা উচিত। টাইম বাউন্ড। বিজেপি নেতাদের বলব, যাঁরা নবান্ন অভিযান করে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছেন, তাঁরা সংসদ অভিযান করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে ধর্ষণবিরোধী আইন আনার জন্য দাবি করুন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে দাবি জানান, বিজেপির সভাপতির কাছে দাবি জানান। আমি বলছি, ওঁদের ক্ষমতা নেই, ধর্ষণ বিরোধী আইন ভারতে আনার। কারণ এই আইন এলে সবথেকে আগে বেশি যারা জেলে যাবে, তারা বিজেপির লোক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct