দেবাশীষ পাল, মালদা, আপনজন: সংসারে অভাবের জেলে ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু যুবকের। পাইপ লাইনের কাজ করার সময় ইলেকট্রিক শক লেগে মর্মান্তিক মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের। দ্বাদশ শ্রেণী পাশ করেই পেটের টানে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্যে ভিন রাজ্যে কাজে পাড়ি দিতে হয়েছিল বছর বাইশের যুবক রাজকুমার সরকারকে। দুর্গা পুজোয় বাড়ি আসার কথা ছিল।আর ফেরা হলোনা।ফিরবে নিথর মৃতদেহ। মালদার মানিকচক ব্লকের চৌকি মিরদাদ পুর অঞ্চলের সৈদপুরের তরতাজা যুবক রাজকুমার সরকার বিগত তিন মাস আগে ভিন রাজ্যে কর্নাটকে পাইপ লাইনের কাজে গিয়েছিল। তার উপার্জন করা টাকা থেকেই চলতো অভাবি সংসার। পরিবার সূত্রে জানা গেছে শুক্রবার দুপুর ৩ টা নাগাদ কর্মরত অবস্থায় ইলেকট্রিক শক লাগে। সঙ্গে সঙ্গে মূর্ছা যায়। তার সহকর্মীরা উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।সহ কর্মীরা ফোন মারফত পরিবারে মৃত্যুর খবর জানাই। মৃত্যুর খবর চাউর হতেই পরিবারসহ এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
রাজকুমার সরকারের পরিবার রয়েছে বৃদ্ধ বাবা জিতেন সরকার (৫৫)। আগে শ্রমিকের কাজ করলেও বয়সের ভারে এখন তেমন কাজ করতে পারেন না। মা উমা সরকার গৃহিণী। এক ভাই শম্ভু সরকার ও বোন সুজিতা সরকার। পরিবার চলতো পরিযায়ী শ্রমিক রাজু সরকারের উপার্জনে। এখন অথৈ জলে গোটা পরিবার। পরিবারের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে।
মৃত পরিযায়ী শ্রমিক রাজকুমার সরকারের বোন সুজিতা সরকার বলেন,’ দাদা উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর থেকেই সংসারে বোঝা টানার জন্য ভিন রাজ্যে কাজে যেতেন। গতকাল পাইপলাইনে কর্মরত অবস্থায় ইলেকট্রিক শক লেগে মারা গেছেন। এখন আমাদের পরিবার কিভাবে চলবে বুঝতে পারছি না। যে কোম্পানি কাজে নিয়ে গেছিল তারা ও রাজ্য সরকার আমাদের পাশে দাঁড়ালে সুবিধে হবে।’
স্থানীয় বাসিন্দা অরুন মন্ডল বলেন,’ বাড়ির বড় ছেলে ছিল রাজকুমার। সে খেটে সংসার চালাতো। তার মারা যাওয়ায় পরিবারের আর্থিক অবস্থা অচল হয়ে পড়ল। সরকার পরিবারের পাশে দাঁড়ালে বেশ সুবিধে হতো।’
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct