সেখ রিয়াজুদ্দিন ও আজিম শেখ, বীরভূম, আপনজন: “উই ওয়ান্ট জাস্টিস”। কথাটা আন্দোলনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেটা শ্লোগান হিসেবেই থেকে যায়। রামপুরহাট এক নম্বর ব্লক এলাকার ঘটনার প্রেক্ষিতে আদালতে সাক্ষীদের বয়ানে সেই রকম চিত্র ফুটে উঠেছে। যার প্রেক্ষিতে খুনের তদন্তকারী সিবিআই এর আইনজীবিদের মধ্যেও হতাশার সুর। উল্লেখ্য গত২১শে মার্চ ২০২২ সালে রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের উপপ্রধান ভাদু শেখ আততায়ীর হাতে বোমার আঘাতে খুন হন। ঘটনার প্রতিশোধ নিতে কিছুক্ষণের মধ্যেই ১০ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়।সে নিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী সরজমিনে এসে আশ্বস্ত করেন তৎকালীন তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনারুল সেখকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। ঘটনায় জড়িতদের কঠোরভাবে শাস্তির দাবি তোলা হয়। তদন্তের দায়িত্বভার সিবিআই এর হাতে যায়। আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ করার সময় উভয় পক্ষের সাক্ষীদের কাছথেকে শুনতে পান ভিন্ন সুর। যদিও সকলেই চেয়েছিলেন এখানে সত্যটা উঠে আসুক তাই সিবিআই এর হাত তদন্তভার যায়। কিন্তু বর্তমানে সাক্ষীরা সমস্তই পাল্টে গেছে। তারা সিবিআইকে যে কথা বলেছিলেন, কোর্টে এসে সে কথা বলছেন না। এমনকি মৃত ভাদু সেখ এর স্ত্রী তিনিও কোন অভিযুক্তকে চিনতে পারছেন না বলে সাক্ষী দিতে এসে সেটাই বলে গেছেন বলে জানা যায়। বুধবার দুজনের সাক্ষী ছিল যারমধ্যে একজন নিহত ভাদু সেখ এর স্ত্রী এবং অপরজন যার দোকানে সিসিটিভি ফুটেজে ভাদু শেখ খুনের ছবি ধরা পড়েছিল তার মালিক।যদিও তারা কেউ ঘটনাস্থলে ছিলেন না এবং কথাও যেগুলো বললেন সেগুলো সিবিআই এর কাছে আগে বলেননি। তাদের দুজনেরই একই বক্তব্য আসামীদের তারা চেনেন না। তবে সিবিআই বললেন “উই ওয়ান্ট জাস্টিস”- সেজন্যই আমরা তদন্ত শুরু করেছিলাম। এখন সাক্ষীরা পাল্টে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের কি করার আছে। সিবিআই এর পক্ষের এবং ভাদু শেখের পক্ষের উভয় আইনজীবী শোনালেন হতাশ সুরের সেই কথা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct