আপনজন ডেস্ক: ভেনিজুয়েলার বিরোধী দলের সমর্থকরা এদমুন্দো গঞ্জালেজকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে দেশে ও বিদেশের নানা জায়গায় জড়ো হয়েছিলেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ২৮ জুলাইয়ের নির্বাচনে কারচুপি করে জয়ী হয়েছেন। হাজারো মানুষ শনিবার ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে জড়ো হন। বিরোধীদলীয় নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো ২৮ জুলাইয়ের নির্বাচনের স্বাধীন, আন্তর্জাতিক যাচাইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন এবং বিক্ষোভকারীদের রাস্তায় থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জনগণের কণ্ঠস্বরের ঊর্ধ্বে কিছু নেই, জনগণই এ কথা বলেছে। তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে পক্ষ পরিবর্তন করতে এবং বিরোধীদের সমর্থন করার আহ্বান জানান। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মারাকাইবোতে স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৯টার মধ্যে শত শত লোক জড়ো হয়েছিল। ভালেন্সিয়া, সান ক্রিস্তোবাল ও বারকিসিমেতো শহরেও শত শত বিক্ষোভকারী উপস্থিত ছিলেন। ভেনিজুয়েলার বিরোধীদের মতে, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম ও সুইজারল্যান্ডেও সমাবেশ হয়েছে। এতে যোগ দিয়েছে ৭০ লাখেরও বেশি প্রবাসী ভেনিজুয়েলান । ভেনিজুয়েলার নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ ন্যাশনাল ইলেক্টোরাল কাউন্সিল (সিএনই) বলেছে, মাদুরো এই বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫২ শতাংশের কম ভোট পেয়ে জয়ী হন। যদিও এর ফলে তার প্রেসিডেন্ট হিসেবে তৃতীয় মেয়াদ নিশ্চিত হয়েছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, সিএনই মাদুরোর ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড সোশ্যালিস্ট পার্টি অব ভেনিজুয়েলার (পিএসইউভি) একটি শাখা হিসেবে কাজ করে।
বিরোধী দল প্রকাশ করেছে, ভোটিং মেশিনের ৮৩ শতাংশের মধ্যে তাদের প্রার্থী এদমুন্দো গঞ্জালেজ প্রায় ৬৭ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন। বিক্ষোভ রুখতে সরকারি দমন-পীড়নে কমপক্ষে দুই হাজার ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস (ওএএস) বিস্তারিত ফলাফলের তালিকা প্রকাশের অনুরোধ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং বেশ কয়েকটি লাতিন আমেরিকান দেশ এদমুন্দো গঞ্জালেজকে নির্বাচনে জয়ী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে জাতিসংঘের একটি প্যানেল জানিয়েছে, ভেনিজুয়েলার নির্বাচনে ‘স্বচ্ছতা ও সততার’ অভাব রয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct