আপনজন ডেস্ক: মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের তদন্তে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের কল ডিটেলস ও চ্যাট খতিয়ে দেখছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রবিবার টানা তৃতীয় দিনে সিবিআই আধিকারিকদের সামনে হাজির হওয়া সন্দীপ ঘোষকে হাসপাতালে ঘটনার আগে এবং পরে তিনি যে ফোন কলগুলি করেছিলেন তার বিশদ বিবরণ দিতে বলা হয়েছে।
গোয়েন্দারা ঘোষের ফোন কল এবং ডেটা ব্যবহারের বিশদ জানতে মোবাইল ফোন পরিষেবা সরবরাহকারীর সাথে যোগাযোগ করার কথাও ভাবছেন।শনিবার থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ১৩ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরে পৌঁছন প্রাক্তন অধ্যক্ষ। সিবিআই আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, আমাদের কাছে তার জন্য প্রশ্নের একটি তালিকা রয়েছে। তিনি বলেন, যে চিকিৎসকের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেছিলেন, তার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর সন্দীপ ঘোষকে তাঁর ভূমিকা নির্দিষ্ট করতে বলা হয়েছিল এবং কেন তিনি বাবা-মাকে প্রায় তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়েছিলেন।
ঘটনার পর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেমিনার হলের কাছের কক্ষগুলো সংস্কারের নির্দেশ কে দিয়েছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয় প্রাক্তন অধ্যক্ষকে।
হত্যাকাণ্ডের পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র বা পূর্ব পরিকল্পনা ছিল কি না, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। অধ্যক্ষ কী করছিলেন এবং তিনি এই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবে জড়িত কি না।
ঘটনার রাতে মৃত চিকিৎসকের সঙ্গে কর্তব্যরত অন্যান্য চিকিৎসক ও ইন্টার্নদের সঙ্গে সন্দীপ ঘোষের উত্তরের সত্যতা যাচাই করে দেখবেন সিবিআই গোয়েন্দারা।
এখনও পর্যন্ত সিবিআই তদন্তের স্বার্থে কলকাতা পুলিশের কয়েকজন অফিসার-সহ ২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
রবিবার মধ্যরাতে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতর থেকে বেরনোর সময় সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি হননি সন্দীপ ঘোষ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct