রাজু আনসারী, অরঙ্গাবাদ, আপনজন: ওড়িশায় বাংলার শ্রমিকদের হেনস্থা করার প্রতিবাদে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের সুতি-সামশেরগঞ্জে। বুধবার সকাল থেকেই সামশেরগঞ্জের বাসুদেবপুর ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধে সামিল হন ওড়িশা ফেরত শ্রমিকরা। চলে দফাই দফাই স্লোগান। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে অবরোধ চললেও কোনমতেই অবরোধ উঠাতে চাইছিলেন না আন্দোলনকারীরা। বারবার পুলিশ বোঝাবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। যদিও একপর্যায়ে আন্দোলনকারী শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। উড়িষ্যার একটি গাড়িকে ভাঙচুর করেন তারা। শুরু হয় ইট পাটকেল ছুড়াছুড়ি। পাল্টা পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় টিয়ার সেল ফাটাতে বাধ্য হয় পুলিশ। ফারাক্কার এসডিপিও এবং সামশেরগঞ্জ থানা পুলিশের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে বিক্ষোভ অবরোধকে কেন্দ্র করে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে। আটকে পড়ে বহু লরি থেকে শুরু করে যাত্রীবাহী বাস। শ্রমিকদের আন্দোলনে জখম হয়েছেন একজন পুলিশকর্মী সহ বেশ কয়েকজন। প্রাথমিকভাবে কয়েকজনকে আটক করেছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ।
শুধু সামশেরগঞ্জেই নয় অন্যদিকে শ্রমিকদের আন্দোলন শুরু হয় মুর্শিদাবাদের সুতির সাজুড়মোর ১২ নম্বর জাতীয় সড়কেও। আন্দোলনের পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গে কার্যত উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। জখম হন ট্রাফিক পুলিশের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর মেরাজ আব্দুল সেখ। পুলিশ সূত্রের খবর এদিন সুতির সাজুড়মোর জাতীয় সড়কে আন্দোলন সড়াতে গিয়ে হাত কামড়ে দেই ট্রাফিক পুলিশের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টরের বলে জানা যায়। যদিও পরে পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণ করে। আপাতত সুতি এবং শামশেরগঞ্জ উভয় জায়গায় জাতীয় সড়কে পরিস্থিতি থমথমে হয়ে রয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে করা নজরদারিতে রাখা হয়েছে এলাকা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct