মিষ্টি না খেলে বাঙালীর কোনও উৎসব পূণ হয় না। বিভিন্ন উৎসবে বা কারো বাড়ি বেড়াতে গিয়ে মিষ্টি খেতেই হবে। এটাই রেয়াজ।কিন্তু অত্যাধিক মিষ্টি খেলে ওজন বৃদ্ধি, ব্লাডসুগার এবং শারীরিক বিভিন্ন অসুস্থতা চলে আসবে। যার ফলে উৎসবের দিনগুলোতে মিষ্টিমুখ, পছন্দের রসনা থেকে এখন বহু মানুষ দূরে থাকেন। তবে এবার তাদের জন্য এলো সু খবর।এবার আর মিষ্টি দেখে চোখ বন্ধ করে থাকতে হবে না। মিষ্টি খেলেও অথচ ব্লাড সুগার একদমই বাড়বে না। চটজলদি কিছু নিয়ম মেনে চললে ব্লাডসুগার আপনার কপালে ভাঁজ ফেলতে পারবে না। শুধু টিপস মেনে চললেই হবে না। সঙ্গে থাকতে হবে নিয়ম মেনে পরিমিত খাবার খাওয়া এবং সঙ্গে চলবে নিয়মিত ব্যায়াম। তাহলে সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে। ডায়াবেটিস রোগীদের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো দুধ। দুধে প্রচুর পরিমাণে হাইপ্রোটিন থাকায় এই তরল পদাথে যেমন হাড়ের বৃদ্ধি, হাড় মজবুত এবং দৈহিক বিকাশে সাহায্য করে। তেমনই সুগারের রোগীদের দুধপান করা বা দুধ দিয়ে তৈরি যে কোনো খাবার এড়িয়ে চলা অত্যন্ত জরুরী। কারণ, রক্তে ইনসুলিনের ক্ষেত্রে এই দুধ অত্যন্ত ক্ষতিকারক। সুতরাং, বলা যেতে পারে মিষ্টি তৈরির ক্ষেত্রে যারা ব্লাড সুগারের রোগী, তাদের অবশ্যই রান্নায় দুধ এড়িয়ে চলা উচিত। শুধু তাই নয় দুধের বিকল্প হিসেবে অন্য কিছুও ব্যবহার করা যেতে পারে। তাহলে দেখা যাবে ডায়েটের প্রথম ধাপেই ব্লাড সুগার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। দুধ খাওয়া যাবে না বলে অনেকেই ভাবতে পারে যে তাহলে মিষ্টি খাবো কী করে। কারণ, সব মিষ্টিই তো দুধ দিয়েই তৈরি হয়। এ নিয়ে একদম দুশ্চিন্তা করে শরীর খারাপ করতে যাবেন না। দুধ খাওয়া নিষেধ, তাতে কি আছে। দুধ ছাড়াও আনো অনেক উপাদান আছে যেগুলো দিয়ে সহজেই বাড়িতে বসে মিষ্টি বানানো যাবে। যেমন, বিকল্প হিসেবে আপনি বেছে নিতে পারেন, প্রাকৃতিক মধু, নারকেলের মাখন, গুড়, নারকেলের চিনি প্রভৃতি। দুধের বিকল্প হিসেবে মিষ্টি তৈরিতে আপনি এগুলোও ব্যবহার করতে পারেন। যেমন অ্যালমণ্ড, সয়াদুধ বা নারকেলের দুধ অথবা বাদাম দুধও ব্যবহার করে দেখতে পারেন। যদিও এ সমস্ত খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিনিয়ত সুগারের লেভেল চেক করে দেখে নিতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct