সাবের আলি, বড়ঞা, আপনজন: বঙ্গীয় গ্রামীন বিকাশ ব্যাঙ্ক ডাকাতির চেষ্টায়। বানচাল করে দেয় পুলিশ। একজনকে পুলিশ ধরে ফেললে বাকিরা পালিয়ে যায়। শনিবার গভীর রাতে বড়ঞা থানার আন্দি গ্রামে পিছনের জানালার গ্রিল কেটে বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কে লুট করতে এসে পুলিসের জালে আপাতত একজন। উত্তর২৪ পরগণার অলোক রায় নামে ওই দুষ্কৃতীকে পাঁচদিন পুলিস হেফাজত দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন গভীর রাতে আন্দি বাজার এলাকার দুষ্কৃতী দলটি ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড় হয়। এরপর তারা ওই ব্যাঙ্ক লুট করার পরিকল্পনা করে। সামনের দরজা দিয়ে ঢোকা সম্ভব নয় দেখে পিছনের জানালার কাছে হাজির হয়। ওই দলে অন্তত চারজন ছিল বলে পুলিসের অনুমান। দুষ্কৃতী দলটি ব্যাঙ্কের পিছনের একটি জানালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। এরপর একটি লোহার সাটারও ভাঙা হয়। এরপর সোজা ভল্টের কাছে গিয়ে পৌঁছয়। ভল্ট লোহার শাবল দিয়ে ভাঙার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু তা করতে গিয়েই বিপত্তি। বেজে উঠে ব্যাঙ্কের এলার্ম। সেই সময় আন্দি বাজারে কর্তব্যরত পুলিসের দলটি ব্যাঙ্কের কাছাকাছি ছিল। পুলিসের আসা দুষ্কৃতী দলটি দেখতে পেয়েই ফের ভাঙা জানালা দিয়ে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দুষ্কৃতীদের পিছু ধাওয়া করে পুলিস। এরপর অনেকটা পথ পেরিয়ে স্থানীয় কাটনা গ্রামের কাছে এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলা হয়। ধৃতের নাম অলোক রায়। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার খড়দহ থানার সোদপুর ইন্দিরা কলোনিতে। পুলিস ধৃতের কাছে থেকে দুটি তিন ফুটের লোহার শাবল, একটি কাটার, প্লাস্টিকের থলে সহ অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে। ধৃতকে এদিন কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হলে এসিজেএম সৈকত সরকার পাঁচদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিসের বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতী দলটিতে অন্তত চারজন ছিল। এর পিছনে বড় একটি চক্র কাজ করছে। এমনকি স্থানীয় কয়েকজন যুবকও ওই চক্রে জড়িত। এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বাসিন্দা শৌভিক মুখোপাধ্যায় বলেন, রাতে এই জায়গায় কোন লোকজন থাকে না। কিন্তু জনবহুল এলাকা। এখানে ২৪ ঘণ্টা পুলিস প্রহরা থাকে। যদিও ওই ব্যাঙ্কের কোষাধাক্ষ্য প্রতাপ বিশ্বাস বলেন, ব্যাঙ্কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিকঠাক রয়েছে। যে কারণে ভল্ট ভাঙার আগেই এলার্ম বেজে উঠে। দুষ্কৃতীরা একটি সিপিইউ নিয়ে পালিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct