নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা, আপনজন: মেয়ের মৃত্য নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন পড়ুয়া ডাক্তারি ছাত্রীর বাবা। আর জি কর হাসপাতালে ডাক্তারি ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ডাক্তারি ছাত্রীর বাবা। মেয়ের ওপর যথেষ্ট চাপ ছিল। টানা ৩৬ ঘন্টা ডিউটি করতে হতো। হাসপাতালে কাজ করতে গিয়ে সিনিয়ার ডাক্তাররা ঠিকমতো কাজ করতে দিত না তাকে। তাদের মেয়েকে কেউ খুন করার জন্য সুপারি দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন নিহত পড়ুয়া চিকিৎসকের বাবা। ওই ছাত্রীর মা জানান যা কিছু গোলমাল ছিল তা ওই চেস্ট ডিপার্টমেন্টে। মুখ্যমন্ত্রীর উপর তাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলে জানান। তারা আরো বলেন, হাসপাতালের সহকারি সুপার আমাদের বলেছিল আমাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে জানা গেল আমাদের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তবে আততায়ী একজন নাকি, একাধিক ছিল সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা জানান ,পুলিশ ডিএনএ টেস্ট করার পর এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারবেন। হাসপাতালে ডিউটি করা প্রসঙ্গে তারা বলেন,চার জন ছেলে ডাক্তারের সাথে আমার মেয়েকে একা ডিউটি করতে হত। ও আর জি কর হাসপাতালে যেতে চাইতো না। অনীহা ছিল। বিক্ষোভরত ডাক্তারদের সাথে পূর্ণ সহযোগিতা আর আস্থা আছে বলে জানান নিহত চিকিৎসকের বাবা। আমরা যোগ দিতে পারি ওদের আন্দোলনে এবং চেষ্টা করছি বলে একদিন বলেন আমরা একটু গোটা বিষয়টি এবং আমাদের নিজেদের সামলে নিয়ে তারপর ওখানে যাব। অপরদিকে,কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলিধর শর্মা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান এ দিন তিনি পোস্টমটনের যে প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়া গেছে তা পরিবারকে দিতে এসেছিলেন। তদন্তে কলকাতা পুলিশ কি কি জানতে পেরেছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ কি কি নিতে যাচ্ছে তা নিয়ে পরিবারকে জানানো হয়েছে। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান বলেন , আমরা এই নৃশংস খুনের ঘটনার স্বচ্ছ ভাবে তদন্ত করছি। ওই মেয়েটি আমার মেয়ের মত বা ভাইজির মত। তাই আমি এই খুনের ঘটনার তদন্তের শেষ দেখে ছাড়বো।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct