নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: বর্ষায় রাস্তা যেন চষা খেত, আর শুখা মরসুমে ওড়ে ধুলো। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের মোল্লাবাড়ি ও কতোল দুই গ্রামের মাঝে বেলিয়া দিঘিতে দুই কিলোমিটার কাাঁচা রাস্তা দীর্ঘ বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ওই মাটির রাস্তাটি পাকা করার দাবি দীর্ঘ দিনের। কিন্তু এলাকাবাসীর দাবি, তিন দশক ধরে প্রতিশ্রুতি মিললেও, রাস্তাটি পাকা হয়নি। ফলে,যানবাহন চলে না। বাসিন্দাদের একাংশকে চার কিলোমিটার ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয়।রাস্তাকে ঘিরে তাই ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মানুষ। যদিও রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাভলি খাতুন বলেন,এই রাস্তাটি পাঁকা করতে গেলে কয়েক লক্ষ টাকার প্রয়োজন। যা পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এত টাকার টেন্ডার ধরা সম্ভব না। আমি জেলা পরিষদকে রাস্তার বিষয়টি জানাব। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,এই রাস্তা দিয়ে রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত,সালদহ,পেমা,
ভক্তিপুর, বিধুয়া, ডাঙ্গিলা, তুলসীহাটা, শক্তোল ও পাড়ো যাওয়া যায়।বেহাল রাস্তার জন্য রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতে চার কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয় বাসিন্দাদের।শুধু যাতায়াতেই সমস্যা হচ্ছে তা নয়।এলাকার অধিকাংশ মানুষই কৃষিজীবী।দুই কিলোমিটার রাস্তার পাশে রয়েছে কয়েক হাজার বিঘা জমি। ফলে,ফসল ঘরে তোলা এবং বাজারে নিয়ে যেতেও তাদের জেরবার হতে হচ্ছে। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ (বি) ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্যা মার্জিনা খাতুন বলেন,আমি রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি। চাষিদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে,এমন রাস্তা চিহ্নিত করে দ্রুত যাতে সেগুলির সমস্যা মেটে তা দেখা হচ্ছে।স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম বলেন, ভোট এলে প্রতিশ্রুতি মেলে। পরে কারও দেখা মেলে না। রাস্তার জন্য বাড়তি খরচ হওয়ায় চাষি লাভের মুখ দেখতে পারছেন না। জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন,রাস্তা যাতে পাকা করা হয়, সে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct