আপনজন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার দৃঢ়তার সাথে বলেছেন তার সরকার আরজি কর হাসপাতালের স্নাতকোত্তর শিক্ষানবিশ জুনিয়র ডাক্তারকে যৌন নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড চাইবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, তিনি তদন্তকারী অফিসারদের এই মামলাটি দ্রুত ট্র্যাক আদালতে বিচার করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছেন।
শুক্রবার উত্তর আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হলের ভিতর থেকে ওই মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে খুনের আগে যৌন নির্যাতনের ইঙ্গিত মিলেছে। এই ঘটনায় ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে ফাঁসির আবেদন জানানো উচিত বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে ফাঁসির বিরোধী। কিন্তু কিছু কিছু ঘটনায় এই ধরনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রয়োজন আছে। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এই ধরনের কাজ করতে সাহস না পায়। মমতা বলেন, যাকে ধরা হয়েছিল, যারা হাসপাতালের ভিতরে যাতায়াত করেন, তাদের মধ্যেই কেউ এই কাজ করে থাকবেন। যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেও হাসপাতালে যাতায়াত করত। আমি প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি, দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে এই মামলা তুলতে। প্রয়োজনে ফাঁসির আবেদন জানাতে। এটা অত্যন্ত ঘৃণ্য অপরাধ। এই অপরাধের কোনও ক্ষমা নেই। আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকের মৃত্যু অমানবিক, অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। আমার মনে হচ্ছে, যেন নিজের পরিবারের কাউকে হারিয়ে ফেলেছি। এই ঘটনাকে কখনওই সমর্থন করা যায় না। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভ ও মিছিল ন্যায়সঙ্গত বলেও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিকে আমি সমর্থন করি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দাবি উঠলে সিবিআই-সহ অন্য কোনও সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনও আপত্তি নেই।
এই ঘটনাকে ভয়াবহ ও ঘৃণ্য আখ্যা দিয়ে তিনি বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্যসেবা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। এর আগে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে বাহিনী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct