সজিবুল ইসলাম, ডোমকল, আপনজন: ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগুয়া ডোমকল মহকুমা আর এই এলাকার মানুষকে ট্রেনে সফর করতে প্রায় ৭০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে রেল স্টেশনে পৌঁছাতে হয় আর তার পর সেখান দেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে পৌঁছায়।তবে এই দীর্ঘ পথ বাস বা বাইকে করে যেতে হয় আর সেটা অনেক সময় লেগে যায় সাধারণ মানুষের।তবে দীর্ঘ দিনের দাবি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ট্রেন যোগাযোগ হলে যেমন বাণিজ্যিক ভাবে উপকৃত হিব আবার সাধারণ মানুষের সময় ও অর্থ বাঁচবে ।বিশেষ করে যারা সীমান্ত এলাকা থেকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য যায় তাদের একদিন আগে থেকে বাড়ি থেকে বেরোতে হয়,যদি ট্রেন লাইন হয় তাহলে দিনের দিন গিয়ে চিকিৎসা করে আসতে পারবে কলকাতা থেকে।এই বিষয়ে অনেক রাজনৈতিক দলের সাংসদরা আগেও দাবি তুলেছিলেন সংসদে যদিও তাতেও কোনো কাজ হয়নি।রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রী থাকা কালীন করিমপুর জলঙ্গী ডোমকল রেল লাইনের সার্ভের জন্য অনুমোদন দিয়েছিলেন।কিন্তু তিনি রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে আর সেই কাজ শুরু হয়নি।যদিও ইতি মধ্যে নদীয়ার সাংসদ মহুয়া মিত্র কৃষ্ণনগর থেকে করিমপুর পর্যন্ত রেল লাইনের সার্ভের করে ফেলে ছেন।কিন্তু ডোমকল মহকুমায় রেল লাইনের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেছে।মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের সাংসদ আবু তাহের খান দ্বিতীয় বার সাংসদ নির্বাচিত হয়ে পার্লামেন্টে তার প্রথম বক্তব্যের মধ্য ডোমকল করিমপুর রেল লাইনের দাবি তুলেন।পাশাপাশি নসিপুর রেল ব্রিজ নিয়েও সরব হন সাংসদ আবু তাহের খান,তিনি সংসদে তার বক্তব্য বলেন নসিপুর রেল ব্রিজ আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে কাজ সম্পূর্ণ হলেও তার উপর দিয়ে আজও ট্রেন চলাচল শুরু হয় নি,এই ব্রিজের উপর দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হলে একশো কিলোমিটার রাস্তা কমে যাবে ।আর নসিপুর রেল ব্রিজ তৈরি করা হলে কেনো তা কেনো আজও চালু করা হলো না সেই বিষয়ে সরব হন।
সংসদে শুক্রবার যেভাবে মুর্শিদাবাদ লোকসভার মানুষের দাবি দাওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন তাতে অনেক খুশি সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দলীয় নেতা কর্মী সমর্থকরা।এখন দেখার যে কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রী কি রেল লাইনের জন্য অনুমোদন দেন কি না ।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct