নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: স্কুলে দুইটি রান্নাঘর থাকা সত্ত্বেও শ্রেণি কক্ষের মধ্যে হচ্ছে মিড ডে মিলের রান্না ও খাওয়া। অপরদিকে রান্নাঘর দুটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। একটি রান্নাঘর এলাকার নেশাখোরদের আড্ডার জায়গা হয়ে উঠেছে অপর একটি রান্নাঘর পোকামাকড়দের আশ্রয় স্থল হয়ে উঠেছে বলে জানান স্থানীয়রা। রান্নাঘর দুটি মেরামত করার কোনো উদ্যোগ নেই প্রশাসনের বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাঁধুনিরা।হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের চিত্র।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,দীর্ঘ দশ বছর ধরে রান্নাঘর দুটি বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।এর পরিবর্তে একটি শ্রেণি কক্ষকে মিড ডে মিলের রান্নাঘর হিসেবে ব্যবহার করছে এবং অপর একটি শ্রেণি কক্ষকে ডাইনিং রুম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।যদিও স্কুলের ভার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ হোসেন বলেন,একটি রান্নাঘর ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে এবং অপর একটি রান্নাঘরের দরজা বন্ধ রয়েছে।তাই ব্লক প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে একটি শ্রেণি কক্ষকে রান্নাঘর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।মিড ডে মিল রান্নার রাঁধুনিরা অভিযোগ করে বলেন,আমরা রান্না করার জন্য তিনটি দলের মোট ৩০ জন রাঁধুনি রয়েছি।পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীদের জন্য রান্না করতে হয়।একটি শ্রেণি কক্ষের মধ্যে একসঙ্গে এতজন রাঁধুনি রান্না করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে।স্কুলের এক কোনে রান্নাঘর থাকায় স্কুলের ভিতর থেকে জল নিয়ে আসতে হয়।যা খুব কষ্টসাধ্য।একটি মাত্র গ্যাস সিলিন্ডারে তিনটি দলকে রান্না করতে হয়।যা রান্না করতে গিয়ে যথেষ্ট সময় লেগে যায়।তারা আরো বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বলেন, রান্না করার সময় বারান্দার দরজায় তালা মেরে দেন স্কুল শিক্ষকরা।কোনো রকম গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ ঘটলে আমাদের বার হবার কোনো পথ নেই।রান্নাঘরের মধ্যেই পুড়ে মরতে হবে। অপরদিকে একটি রান্নাঘরের মধ্যে একসঙ্গে চারটি শ্রেণিকে একসাথে বসিয়ে খাওয়ানো সম্ভব হচ্ছে না।হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বিডিও সৌমেন মন্ডল বলেন,কেন রান্নাঘর দুটি বন্ধ রাখা হয়েছে তা আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct