আপনজন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে নির্বাচনি প্রচারণায় জড়িত কমর্কর্তাদের ইরানের হ্যাকাররা টার্গেট করেছে বলে দাবি করেছে বহুজাতিক মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানি মাইক্রোসফট।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার উল্লেখ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুনে নির্বাচনি প্রচারের কাজে নিয়োজিত এক ‘উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তা’র অ্যাকাউন্টে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল ইরান সংশ্লিষ্ট হ্যাকাররা। কাউন্টি স্তরের এক মার্কিন কর্মকর্তার অ্যাকাউন্টে অনুপ্রবেশের কয়েক সপ্তাহ পর এই চেষ্টা করা হয় বলে জানান মাইক্রোসফ্ট গবেষকরা।
মাইক্রোসফটের একটি প্রতিবেদনে গবেষকরা বলেছেন, নভেম্বরের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ইরানি গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে হ্যাকিংয়ের প্রচেষ্টাগুলো চালানো হয়। তবে হ্যাকিং প্রচেষ্টার শিকার হওয়া সেসব ‘কর্মকর্তাদের’ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তারা।
রয়টার্স বলছে, মাইক্রোসফট গবেষকদের ওই প্রতিবেদনটি ঊর্ধ্বতন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের প্রকাশিত সাম্প্রতিক একটি বিবৃতিকে প্রতিফলিত করে। ওই বিবৃতিতে গোয়েন্দা কর্মকার্তারা জানান, তারা ইরানকে গোপন সামাজিক মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলোকে ব্যবহার করতে দেখেছে। ইরানি ওই হ্যাকাররা যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বিভেদের বীজ বপনের চেষ্টার লক্ষ্যেই এই কাজ করেছে বলে দাবি তাদের।
এক বিবৃতিতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে ইরানের মিশন রয়টার্সকে বলেছে, তাদের সাইবার সক্ষমতা ‘প্রতিরক্ষামূলক ও তা মুখোমুখি হওয়া হুমকির আনুপাতিক।’ তাদের সাইবার হামলা চালানোর কোনও পরিকল্পনা নেই বলেও জানান ইরানি মিশন।
মাইক্রোসফ্ট রিপোর্টে ইরানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জবাবে মিশনটি বলে, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিতান্তই একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ ধরনের বিষয়ে ইরান হস্তক্ষেপ করে না।’
মাইক্রোসফটের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) গোয়েন্দা ইউনিট পরিচালিত একটি দল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনি প্রচারের এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে একটি স্পিয়ার ফিশিং (প্রতারণামূলক) ইমেল পাঠিয়েছিল’ এবং ‘আইআরজিসিতে প্রবেশের অনুমতি আছে এমন একটি গোষ্ঠী ন্যূনতম অ্যাকসেস আছে এমন একটি কাউন্টি স্তরের সরকারের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছিল।’
এই কার্যকলাপটিকে মার্কিন রাজনৈতিক প্রচারণা এবং মার্কিন সুইং স্টেটগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য ইরানি গোষ্ঠীগুলোর বৃহত্তর চাপের অংশ বলে মনে করছেন মাইক্রোসফট গবেষকরা।
‘সুইং স্টেট’ হলো এমন সব অঙ্গরাজ্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সংখ্যাঘরিষ্ঠতার ভিত্তিতে যেগুলোতে ডেমোক্র্যাট বা রিপাবলিকান উভয় দলই জয় লাভ করতে পারে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct