আপনজন ডেস্ক: শুক্রবার সকালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের চার তলার সেমিনার হল থেকে এক তরুণী পড়ুয়া চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই নিয়ে হাসপাতালের ভিতরে বিক্ষোভ দেখায় জুনিয়র ডাক্তারেরা। চার তলার যে সেমিনার হলে চিকিৎসকের দেহ রাখা রয়েছে, সেখানে জড়ো হন ডাক্তারি পড়ুয়ারা। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষও সেখানে উপস্থিত হন। তবে তরুণীর মৃত্যুকে ঘিরে যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ মন্তব্য করতে চাননি। হাসপাতালের সুপার বলেন, ‘‘পুলিশকে তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে তদন্ত হবে। চিকিৎসকের দেহের ময়নাতদন্ত হবে। সেই ময়নাতদন্ত করার ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ১১ সদস্যের। আমরাও চাই, সত্য প্রকাশ্যে আসুক।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। পুলিশ রয়েছে, ফরেনসিক দল রয়েছে। তদন্ত চলছে। মন্তব্য করা যাবে না। তদন্ত চলছে।’’ এ দিকে ছাত্রীর মৃত্যুর প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। বিচারবিভাগীয় তদন্ত-সহ একাধিক দাবি জানিয়েছেন। যত ক্ষণ কমিটি তৈরি এবং অন্য দাবি না মিটছে, তত ক্ষণ কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন,রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের। সংগঠনের সদস্য আরিফ আহমেদ লস্কর বলেন, ‘‘ঘটনাটি সেমিনার রুমে হয়েছে, যা খুব সন্দেহজনক। তবে মন্তব্য করব না। তদন্ত চলছে।’’ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে তদন্ত হবে। জানিয়ে দিয়েছেন আরজি কর হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠ। তার দাবি, সত্য প্রকাশ্যে আসুক। অন্যদিকে, ছাত্রীর মৃত্যুর প্রতিবাদে শুক্রবার কর্মবিরতির ডাক দেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বিচারবিভাগীয় তদন্ত-সহ একাধিক দাবি তুলেছেন তারা। তারা জানিয়েছেন, এই দাবি না মেটা পর্যন্ত চলবে কর্মবিরতি। যতক্ষণ কর্মবিরতি চলবে, তত ক্ষণ হাসপাতালের জরুরি বিভাগেই শুধু মিলবে পরিষেবা। খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তিনি জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। হাসপাতালে যান স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। হাসপাতালে দুপুর থেকে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখায় এআইডিএসও।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct