চন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর, আপনজন: বর্ষার ঝোড়ো ইনিংস চলছে।এর পরে পুজো ও তার পরেই শীতের মরশুম।আর শীত মানেই খাদ্য রসিক মানুষের প্রিয় জয়নগরের সুস্বাদু নলেন গুড়ের মোয়া। তবে এবারে শীতে জয়নগরের মোয়া ব্যবসায়ী এবং প্রস্তুতকারকদের কাছে সুসংবাদ আসতে চলেছে। এই শীতেই জয়নগরের বুকে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে জয়নগরের মোয়া ব্যবসায়ীদের স্বপ্নের ‘মোয়া হাব’।এখন তাই
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে জয়নগরে ‘মোয়া হাব’ তৈরির কাজ। জয়নগরের প্রাণ কেন্দ্রেই পুরসভার পাশের মাঠের ধারে পাঁচিল ঘেরা জায়গায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে মোয়া হাবের জন্য নব নির্মিত দোতলা বাড়ি।এই মোয়া হাব তৈরি হলে জয়নগর সহ তৎসংলগ্ন এলাকার প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পরিবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে উপকৃত হবেন। কেননা এখানকার বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ জড়িয়ে রয়েছেন এই মোয়া ব্যবসায়। কেউ প্রস্তুতকারক, তো কেউ ব্যবসায়ী। আবার কেউ শিউলি। কয়েক বছর আগেই জয়নগরের মোয়া জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। ফলে এখানকার মোয়ার সুনাম আরও বেশি ছড়িয়ে গেছে সারা বিশ্বে। আর তাই জানুয়ারি মাসে জয়নগরের বহড়ুতে প্রশাসনিক সভায় এসে জয়নগরের মোয়ার প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সম্প্রতি বারুইপুরের একটি সভায় এসেও জয়নগরের মোয়ার উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেন। পাশাপাশি মোয়া ব্যবসায়ী, মোয়া প্রস্তুতকারক ও শিউলিদের কথা চিন্তা করে দ্রুত ‘মোয়া হাব’ তৈরি করার কথাও বলেন। ইতিমধ্যেই ‘মোয়া হাব’ তৈরির কাজ করছে রাজ্যের খাদি গ্রামীণ শিল্প বোর্ড। মোট ৮ কোটি টাকা প্রকল্প খরচ ধরা হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে বলে জানান মোয়া হাব তৈরির দায়িত্বে থাকা খাদি গ্রামীণ শিল্প বোর্ডের এক আধিকারিক। মোয়া হাবের দোতলা বাড়িতে থাকছে মোয়াকে দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করার জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্র। পাশাপাশি মোয়া নিয়ে গবেষণা ও প্রস্তুতকারকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ারও ব্যবস্থা।এ ব্যাপারে বহড়ুর মোয়া ব্যবসায়ী গনেশ দাস, জয়নগরের মোয়া ব্যবসায়ী খোকন দাস,রাজেশ দাস,তিলক কয়াল সহ একাধিক মোয়া ব্যবসায়ীরা বলেন, মোয়া হাব আত্মপ্রকাশ পেলে নিঃসন্দেহে এখানকার মোয়া প্রস্তুতকারক ও ব্যবসায়ী এবং মোয়া ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সবারই উপকার হবে।আমাদের জয়নগরের মোয়া ব্যবসায় নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।জয়নগর মজিলপুর পৌরসভার দেওয়া জায়গায় এই হাবটি তৈরি হচ্ছে। আর এ ব্যাপারে জয়নগর মজিলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুকুমার হালদার বলেন,এই জয়নগরের মোয়া হাব মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের পোজেক্ট।এই মোয়া হাবটি আমাদের পৌরসভায় হওয়ায় আমরা খুশি।এই মোয়া হাব তৈরির পিছনে যন্ত্রপাতি কিনতে সহায়তা করেছে জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মন্ডল। আর এই মোয়া হাব টি চালুর পথে জেনে খুশি সাংসদ প্রতিমা মন্ডল ও।আর খাদ্য প্রেমিক মানুষ তাকিয়ে আছে কবে তাদের স্বপ্নের জয়নগরের মোয়া হাবটি চালু হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct