আপনজন ডেস্ক: প্যারিস অলিম্পিককে যদি পিআর শ্রীজেশের শেষ নাচ বলে মনে করা হয়, তবে তা স্মরণীয় করে রাখলেন তিনি।। হরমনপ্রীত সিং অ্যান্ড কোং স্পেনকে ২-১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করে। দীর্ঘ ৫২ বছর পর টোকিওর ও প্যারিস অলিম্পিক দুটিতে পরপর ব্রোঞ্জ জয় করল ভারতীয় হকি দল। অন্তত দুই প্রজন্মের ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে যারা ১৯৮০ সালের অলিম্পিকের পর থেকে অতীত গৌরবের গল্প নিয়ে জন্মেছেন, তাদের কাছে অবশেষে এটি মুক্তির সময় বলে মনে হচ্ছে।
টুর্নামেন্টের শুরুতেই হরমনপ্রীত ঘোষণা করেছিলেন যে তারা ভারতের জন্য নবম অলিম্পিক স্বর্ণপদক অর্জন করতে প্যারিসে যাচ্ছেন। সবচেয়ে সেরা মুহূর্তটি সম্ভবত এসেছিল যখন হরমনপ্রীত ব্রোঞ্জের পরে শ্রীজেশকে কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন, তারপরে কেরালার শ্রীজেশ ঝাঁপিয়ে পড়ে বারের উপর। এটাই চার চিরাচরিত প্রথা। টোকিওতে ভারতের ব্রোঞ্জ পদকজয়ী দলের অধিনায়ক মনপ্রীত সিং চোখের পলক না ফেলেই বলেন, দল এই জয় শ্রীজেশকে উৎসর্গ করতে চান। ঘটনাচক্রে, দুই খেলোয়াড়ই তাদের চতুর্থ অলিম্পিকে অংশ নিয়েছেন।
গেমসে স্পেনের বিরুদ্ধে ৭-৩ ব্যবধানে হেড টু হেড রেকর্ড নিয়ে ভারত ম্যাচে নেমেছিল, তবে এই জাতীয় উচ্চ চাপের ম্যাচে এই জাতীয় পরিসংখ্যান খুব কমই গণনা করা হয়। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে একের পোর এক আক্রমণ তুলে আনে ভারতীয় দল। গোল পেতে তাই খুব বেশি সমস্যা হয়নি তাদের। পেনাল্টি কর্নার থেকে সমতা ফেরায় তারা। সেই গোলটাও আসে ভারতের ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত সিং-এর স্টিক থেকে।
তৃতীয় কোয়ার্টারের শুরুতেই ভারতকে ২-১ এগিয়ে দিলেন হরমনপ্রীত। ভারত পেনাল্টি কর্নার পায়, যা গোলে রূপান্তর করতে কোনও ভুল করেননি অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং। এই ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। এই নিয়ে প্যারিস অলিম্পিক্সে হরমনপ্রীত এখনও পর্যন্ত ১১টি গোল করে ফেলেছেন।
দ্বিতীয় কোয়ার্টারের ১১ মিনিট বাকি থাকতে স্প্যানিশ অধিনায়ক মার্ক মিরালেস গোলের খাতা খোলেন। হাফটাইমের কয়েক সেকেন্ড আগে সমতাসূচক গোলটি করেন হরমনপ্রীত। তৃতীয় কোয়ার্টারে একটি উত্তেজনাপূর্ণ ব্রেস দিয়ে তার সংখ্যা দ্বিগুণ করেছিলেন। এরপরে অভিজ্ঞ শ্রীজেশ শেষ কোয়ার্টারে একটি দুর্দান্ত সেভ করে স্পেনের বিরুদ্ধে ভারতের ২-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct