সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং, আপনজন: জীবন-জীবিকার টানে সুন্দরবন জঙ্গলে মাছ-কাঁকড়া ধরতে যেতে হয় হাজার হাজার মৎস্যজীবিদের কে। অভিযোগ বনদফতরের কর্মীদের হাতে অনেক সময় তাদের লাঞ্ছনা সইতে হয়।এবার মৎস্য জীবিদের সুরক্ষা দিতে আন্দোলনে নামলো গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি(এপিডিআর)।বুধবার দুপুরে বিশাল মিছিল করে ক্যানিংয়ের সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। পরে ৫ দফা দাবী সম্মিলিত একটি স্মারক লিপি দফতরের আধিকারীকদের নিকট জমা দেওয়া হয় এপিডিআর এর পক্ষ থেকে। এদিন আন্দোলনরত হাজার হাজার মৎস্যজীবিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এপিডিআর এর রাজ্য সভাপতি সোমনাথ বসু,জেলা সহ-সম্পাদক মিঠুন মন্ডল,জেলা সদস্য রনজিত সাহা,সমাজসেবী সিরাজ খান সহ অন্যান্যরা। আন্দোলন ও স্মারকলিপি জমা প্রসঙ্গে এপিডিআর এর জেলা সহ সম্পাদক মিঠুন মন্ডল জানিয়েছে, ‘গত ১১ জুলাই কুলতলির মৎসজীবি আবুর আলি মোল্লা বিএলসি পাস সহ ছয় জন সঙ্গী নিয়ে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে সুন্দরবন জঙ্গলের নদীখাঁড়িতে গিয়েছিলেন। রাতে ঘুমের মধ্যে বাঘ আক্রমণ করে এবং আবুর আলিকে তুলে নিয়ে যায়। বনদপ্তরকে জানানো হলেও তাঁরা কোন গা করেননি। পরবর্তী কালে একাধিক বার বনদপ্তরকে অনুরোধ করা হলে একসপ্তাহ পর ১৮ জুলাই নিখোঁজ মৎস্যজীবির পরিবার ও সঙ্গীদের নিয়ে বনকর্মীরা তথ্যানুসন্ধানে যায়। কিন্তু স ঘটনাস্থলে না নেমেই ফিরে আসেন। এখনও কোন তদন্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়নি। আবুরআলির গোটা গ্রাম এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্দ্ধ। মৃতদেহ না পেলে বা বাঘের আক্রমনে মারা গেছে সরকারি ভাবে এই রিপোর্ট না পেলে কী হবে আবুরআলির পরিবারের? তাঁর বৃদ্ধ পিতা, স্ত্রী ও তিন নাবালক সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে গোটা গ্রাম উদ্বিগ্ন। আমরা চাই বনদপ্তর যত দ্রুত সম্ভব এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct