আপনজন ডেস্ক: মধ্য নেপালে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে পাইলট ও চার আরোহীসহ সবার মৃত্যু হয়েছে। আরোহীরা চারজনই চীনা নাগরিক। এএফপি বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এয়ার ডাইনেস্টি হেলিকপ্টারটি রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে সায়াব্রুবেসির দিকে যাচ্ছিল।
জায়গাটি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় বেশ কয়েকটি ট্র্যাকিং রুটের সূচনা পয়েন্ট বলে পরিচিত।
নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, উড্ডয়নের তিন মিনিট পরেই হেলিকপ্টারটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে সেটি রাজধানীর উত্তরে নুওয়াকোট জেলায় বিধ্বস্ত হয়। উদ্ধারের জন্য দুর্ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক আরেকটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে।
বিমান চলাচলের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নেপালের একটি দুঃখজনক ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে এবং হিমালয় প্রজাতন্ত্র কয়েক দশক ধরে মারাত্মক হালকা বিমান এবং হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার ঘটনা দেখেছে। পুলিশের মুখপাত্র ড্যান বাহাদুর কারকি এএফপিকে বলেছেন, পাইলটসহ আরোহী পাঁচজনের সবাই মারা গেছেন।
নুওয়াকোট জেলা আধিকারিক রাম কৃষ্ণ অধিকারী জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি দুর্ঘটনাস্থল থেকে বলেন, ‘হেলিকপ্টারটি পাহাড়ের ঢালের একটি জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয়েছে।
তবে আমরা এখনো এর কারণ বা কীভাবে এটি ঘটেছে তা জানি না।’
অধিকারী আরো বলেন, স্থানীয়রা তাকে দুর্ঘটনা ও ঘটনাস্থলে আগুনের বিষয়ে জানানোর পর তিনি সেখানে পুলিশ ও সেনা সদস্যদের পাঠিয়েছেন। এএফপির তথ্য মতে, পাহাড়-পর্বতে বেষ্টিত নেপাল আকাশপথে চলাচলের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তার ওপর রয়েছে দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণ, অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার অভিযোগ। এসব কারণে দেশটিতে প্রায়ই প্রাণঘাতী প্লেন ও হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে ২৪ জুলাই কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি প্লেন দুর্ঘটনায় ১৯ আরোহীর মধ্যে ১৮ জনই নিহত হন। বেঁচে যান কেবল পাইলট। ওই ঘটনার দুই সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবারো আকাশ দুর্ঘটনার কবলে পড়লো দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি। ২০২৩ সালে নেপালে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে একটি মেক্সিকান পরিবারের পাঁচ সদস্যসহ ছয়জন নিহত হন। ২০১৯ সালে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান দেশটির তৎকালীন পর্যটনমন্ত্রী রবীন্দ্র অধিকারী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct