নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা, আপনজন: রাজ্য জুড়ে গত কয়েক মাসে কমপক্ষে ১২ জন গণপ্রহারে প্রাণ হারানোয় তার বিরুদ্ধে বুধবার কলকাতায় এক প্রতিবাদ সমাবেশ করল আইএসএফ। এই সমাবেশে আইএসএফ জানায়, আইএসএফের সক্রিয় কর্মী আবু সিদ্দিক হালদার নামে এক যুবককে পুলিশি হাজতে নৃশংসভাবে অত্যাচার করা হয়। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগণার ঢোলাহাট থানায়। এটি পরিকল্পিত হত্যা বলে অভিযোগ করে আইএসএফ। এছাড়া, কলকাতার একটি ছাত্রাবাসে চোর সন্দেহে পিটিয়ে মারা হয়েছে ইরশাদ আলমকে। মারা গেছেন প্রসেন মণ্ডল সহ আরো অনেকে। এরই প্রতিবাদে ও প্রতিটি হত্যার ন্যায়বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামেন অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্টের কর্মীরা। কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর থেকে ধর্মতলার রানী রাসমনী অ্যাভেনিউ পর্যন্ত মিছিল করেন। এখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইএসএফের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, একের পর এক গণপ্রহারের ঘটনা ঘটে চলেছে। পুলিশী হেফাজতে মৃত্যু হচ্ছে, অথচ সরকারের শীর্ষে যিনি আছেন তিনি নিশ্চুপ। ভাবখানা এমনই যেন এই রাজ্য দেশের মধ্যে সবথেকে নিরাপদ। অথচ এখানে সংখ্যালঘু, দলিত, আদিবাসীরা সবথেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের ওপর আমাদের আস্থা আছে, সংবিধানের ওপর আস্থা আছে। এই হত্যাগুলির ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চলবে। দলের রাজ্য কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিত মাইতি অভিযোগ করেন, পুলিশের একাংশ সাম্প্রদায়িক হয়ে পড়েছে। এটা মোটেই কাম্য নয়। প্রশাসনের শীর্ষে যিনি আছেন তার মদতেই পুলিশ এই জঘন্য কান্ড করে চলেছে। আমরা পুলিশি অত্যাচারের অবসান চাই। দলের রাজ্য কমিটির কার্যকারী সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক। তিনি বলেন, ন্যায়বিচার না পেলে আন্দোলন আরো তীব্রতর করা হবে। এই জঙ্গলের রাজত্ব খতম করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া আর কোন পথ নেই। বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সভাপতি আব্দুল মালেক মোল্লা, রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি তাপস ব্যানার্জি। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য কমিটি সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন নেতৃত্ব।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct