অমরজিৎ সিংহ রায়, বালুরঘাট, আপনজন: হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পুনরায় শুরু হল দু’দেশের মাঝে যাত্রী পারাপার। তবে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলো এদিনও। যাত্রী পারাপার শুরু হতেই এদিন হিলিতে অবস্থিত অভিবাসন দপ্তরের সামনে ভিড় জমাতে দেখা যায় অনেককেই। তবে এদিনও আমদানি রপ্তানি শুরু না হওয়ায় রাস্তার দুই পাশে সারি সারি ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় পণ্যবাহী গাড়ি গুলিকে। এর ফলে স্বভাবতই ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ উত্তাল হয়ে ওঠার জেরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে। যার প্রভাব পড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হিলিতে। পাশাপাশি যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকায় দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলেন অনেকেই। বাংলাদেশ উত্তাল হয়ে ওঠার ঘটনায় হিলি সীমান্তে হাই এলার জারি করা হয়েছে। মোতায়ন রয়েছে কমবেট ফোর্স ও বিএসএফ। এদিন সকাল ১১ টার পর দু’দেশের মধ্যে যাতায়াতের জন্য সবুজ সংকেত মেলে। তবে হিলির ওপারে পানামা বন্দরে আটকে রয়েছে এপার থেকে যাওয়া বেশ কিছু পণ্যবাহী লরি। সেই লরি গুলি ফিরে না আসা পর্যন্ত পুনরায় এপার থেকে লরি পাঠানো হবে না বলেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে। এদিন বিএসএফ আধিকারিকেদের সঙ্গে বিজিবি আধিকারিকদেরও দফায় দফায় বৈঠকে বসতে দেখা যায়।
এ বিষয়ে হিলি এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের তরফে রাজেশ কুমার আগরওয়াল জানান, ‘বাংলাদেশের তরফের প্রতিনিধিরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। উনারা পণ্য রপ্তানির জন্য আমাদের বলেছেন। কিন্তু কিছু গাড়ি আমাদের ওপারে আটকে রয়েছে। সেগুলো ফিরে এলেই আমরা আবার গাড়ি পাঠানো শুরু করব।’ এ বিষয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা মাহফিজুর অক্সাইড নামে এক ব্যক্তি জানান, ‘কলকাতায় চিকিৎসার জন্য এসেছিলাম। বাংলাদেশের নওগাঁতে আমার বাড়ি। শুনলাম বর্ডার দিয়ে আবার যাতায়াত শুরু হচ্ছে। তাই আজ এখানে এসেছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি মিললেই দেশে ফিরে যাব।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct