মোহাম্মদ সানাউল্লা, লোহাপুর, আপনজন: ছেলে হোক বা মেয়ে হোক অল্প বয়সে বিয়ে নয়। এলাকার মানুষকে সচেতন করতে শিবির করে জানিয়ে দিল নলহাটি ২ নং ব্লকের ভদ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। সোমবার বেলা ১১ টা নাগাদ বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে জন সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করে ভদ্রপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত। সেখানে উপস্থিত হয় এলাকার স্কুল পড়ুয়া, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা, আশা কর্মী সহ অন্যান্যরা। কিন্তু বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করার জন্য কেন একটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে উদ্যোগ নিতে হলো। কারণ হিসাবে যেটা জানা যাচ্ছে, জেলার মধ্যে নলহাটি দুই নম্বর ব্লক এলাকায় বাড়ছে বাল্য বিবাহের প্রবণতা।যার ফলে অল্প বয়সে মহিলারা মা হয়ে যাচ্ছেন। ফলে অপুষ্টি জনিত কারণে বিভিন্ন অসুখ নিয়ে মা ও শিশু ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। যারা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের স্বাস্থ্যই যদি ভালো না হয়। দেশ এগোবে কিভাবে। আগামী ভবিষৎ প্রজন্মের কথা দিনের চিন্তা করে এমন উদ্যোগ নিলো ভদ্রপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত। লোহাপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিৎ কর্মকার বলেন, বাল্য বিবাহ সচেতনতার জন্য যেভাবে ভদ্রপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এগিয়ে এসেছে। সেই ভাবে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত উদ্যোগ নিলে অল্প বয়সে বিবাহ অনেকটাই রুখে দেওয়া যাবে। অল্প বয়সে বিয়ের ফলে মাতৃ মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। এদিনের শিবিরে আলোচনায় উঠে আসে মাস খানেক আগে মোস্তফা ডাঙ্গা পাড়া গ্রামে অল্প বয়সে একটি বিবাহ অনুষ্ঠান হয়।নলহাটি থানার পুলিশ এবং চাইল্ড লাইনের তৎপরতাই সেই বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ছেলে মেয়ে দুজনের অভিভাবকের মুচলেকা নেওয়া হয় মেয়ের ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে নয়। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রূপশ্রী প্রকল্প চালু করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চাইছেন অনেক অভিভাবক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct