মীর আফরোজ জামান, ঢাকা, আপনজন: বাংলাদেশের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোটা দেশ এখন সেনাবাহিনীর দখলে। বাংলাদেশের জনগণকে শান্ত থাকার আর্জি জানিয়ে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানান, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীন দেশের সব কার্যক্রম চলবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গড়ার লক্ষ্যে ও দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধ ও সুশীল সমাজের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন। তাতে উপস্থিত ছিলেন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস; জাতীয় পার্টির জিএম কাদের, মুজিবুল হক চুন্নু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ; হেফাজতে ইসলামের মাওলানা মামুনুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, খেলাফত মজলিসের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, হামিদুর রহমান আজাদ প্রমুখ। সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাতপূর্বক ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’ গঠনের প্রক্রিয়া ও রূপরেখা প্রণয়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আলোচনা শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, সকল হত্যাকাণ্ড ও অন্যায়ের বিচার করা হবে, আপনারা সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা রাখুন। সহিংসতার পথ ছেড়ে তিনি সকলকে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান এবং ঘরে ফিরে যাওয়ার আহবান জানান। একই সাথে তিনি অতি শীঘ্রই ছাত্র-শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকে বসবেন বলে জানান। তিনি বলেন, পরিস্থিতি অচিরেই স্বাভাবিক হয়ে আসবে। আপনারা সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আস্থা রাখেন। আমরা সমস্ত দায়দায়িত্ব নিচ্ছি। আপনাদের কথা দিচ্ছি, আশাহত হবেন না। যত দাবি আছে, সেগুলো আমরা পূরণ করব। দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে নিয়ে আসব। আমাদের সহযোগিতা করেন। প্রতিটি হত্যার বিচার হবে। ছাত্র-ছাত্রীসহ দলমত নির্বিশেষে দেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন সেনাপ্রধান। তিনি আরও বলেন, আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। তাঁর সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করা হবে।