আপনজন ডেস্ক: আজ সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের ওবিসি বাতিলের বিরুদ্ধে মামলাটি উঠবে সুপ্রিম কোর্টে। জানা গেছে, গত ২২ মে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ ২০১০ সালের পরে অর্থাৎ তৃণমূল সরকারের আমলে তৈরি সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করার যে রায় দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সহ বেশ কয়েকটি সংস্থা ও কয়েকটি ব্যক্তি আর্জি জানিয়েছিল ১৮ জুলাই। ২৭২৮৭/২০২৪ শীর্ষক ডায়েরি নম্বরে এই মামলাটি সোমবার উঠবে বলে সুপ্রিম কোর্টের তালিকাভুিক্ত হয়েছে। বেশ কয়েকজনের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলা এই মামলায় সংশ্লিষ্ট করা হয়েছে। শুনানি হবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। মূল আর্জিতে যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হল ১. পশ্চিমবঙ্গ সরকার, ২. ওয়েস্টবেঙ্গল কমিশন অফ ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস কমিশন ৩. সেখ নুরুল হক, ৪. ওয়েস্টবেঙ্গল সিডিউল কাস্ট, সিডিউল ট্রাইব অ্যান্ড আদার ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ফিনান্স কর্পোরেশন। আবেদনকারীদের আইনজীবী হলেন আস্থা শর্মা।
এছাড়া, আরও কয়েকজনের দায়ের করা মামলা এদিনের মামলার সঙ্গে তালিকাভুক্ত করার জন্য আর্জি জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে আইনজীবী শেখর কুমার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে ৩ আগস্ট আর্জি জানিয়ে বলেছেন, ৫ আগস্ট মূল ওবিসি মামলায় আরও তিনটি আবেদনকে অন্তর্ভুক্ত করা েহোক্ সেই তিনটি মামলার আবেদনকারী হলেন, সেখ সেরাফুদ্দিন (ডায়েরি নং: ৩১৯৪৪/২০২৪), তুহিনা পারভিন (ডায়েরি নং: ৩০০৭৮/২০২৪) এবং নওশাদ সিদ্দিকী (ডায়েরি নং: ৩১৯৪২/২০২৪)।
তবে, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার কিংবা অন্য ব্যক্তি বা সংগঠন কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আর্জি জানিয়েছেন তাদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে একজন করে আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে। অথচ, বিবাদী পক্ষের তরফে কমপক্ষে চারজন করে আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে সূত্র জানিয়েছে, মামলাটি ১২ নম্বরে রয়েছে।
উল্লেখ্য, ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে যে মামলা হয়েছিল, সেই মামরায় গত ২২ মে হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ ২০১০ সালের পরে তৈরি সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দেয়। এর ফলে প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল তালিকায় পড়ে। চাকরি-সহ সংরক্ষিত কোনও ক্ষেত্রে ওই সার্টিফিকেট ব্যবহার করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যদি চাকরি প্রক্রিয়া চলছে এমন ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না।
হাই কোর্টের ওই নির্দেশকে মানি না বলে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। সেই মতো রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গেছে। তবে, তার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের তরফে নানা ব্যক্তি এই মামলায় শরিক হয়েছেন। এখন দেখার বিষয় আজ ওবিসি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের তরফে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি কিংবা সেই রায় বাতিল ঘোষণা করা হয় কিনা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct